Thursday 29 June 2017

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান কলেজঃ সূচনা পর্ব
















































কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ইতিহাস কিশোরদের জন্য জয়ঢাক ওয়েবপত্রিকায় লিখেছিলাম। সেটা এখানেপাওয়া যাবে।

Thursday 22 June 2017

মেঘনাদ সাহা, নক্ষত্রের উপাদান ও আধুনিক জ্যোর্তিপদার্থবিদ্যা
























 ২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদে সাহা সমীকরণ ও আধুনিক জ্যোতির্পদার্থবিদ্যা বিষয়ে রমাতোষ সরকার স্মারক বক্তৃতা দিয়েছিলাম। সেই বক্তৃতাতেও সাহা সমীকরণ নিয়ে আরো কিছু তথ্য আছে। সাহা সমীকরণ সবচেয়ে বিখ্যাত কাজ হলেও মেঘনাদ সাহা্র বিজ্ঞান গবেষণা অনেক দিকে প্রসারিত ছিল। তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় এই ব্লগের মেঘনাদ সাহার বিজ্ঞান গবেষণা প্রবন্ধে পাওয়া যাবে।































Friday 16 June 2017

ডি ডি কোসাম্বিঃ শতবর্ষ

Monday 12 June 2017

সমুদ্রতলের পরিবর্তন --- বিপন্ন সভ্যতা

সমুদ্রতলের পরিবর্তন --- বিপন্ন সভ্যতা
শম্পা গাঙ্গুলী

      সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস এনভারনমেন্ট প্রোগ্রাম বিশ্ব পরিবেশের উপর তাদের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে সমুদ্রপৃষ্ঠ বা সমুদ্রতলের উচ্চতা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ভাবে চলতে থাকলে একবিংশ শতাব্দি শেষ হওয়ার আগে তা এক ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনবে Intergovernmental Panel on Climate Change (আইপিসিসি) সারা পৃথিবীতে জলবায়ু পরিবর্তনের উপর গবেষণা করে। তারা নানা সময় সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধি বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাদের সঙ্গে অধিকাংশ বিশেষজ্ঞই একমত। তাঁদের মতে এই ভাবে চললে ২১০০ সাল নাগাদ সমুদ্রতল বেড়ে যেতে পারে এক মিটারের কাছাকাছি। সুতরাং একবিংশ শতাব্দিতে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি একটা তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হতে চলেছে -- এটা অনস্বীকার্য।   
      সমুদ্রতল বলতে আমরা সমুদ্রে জলতলের গড় উচ্চতার কথা বলে থাকি। জোয়ার আর ভাটার সময়ে এই গড় উচ্চতার সাপেক্ষে ভূপৃষ্ঠের কোনো জায়গার উচ্চতা বা গভীরতা মাপা হয়। এই গড় উচ্চতা স্থিতিশীল নয়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর পরিবর্তন হয়। এই পরিবর্তনকেও আমরা দু ভাগে ভাগ করতে পারি। কখনো কখনো খুব অল্প সময়ের মধ্যে সমুদ্রতল  দ্রুত ওঠাপড়ার মধ্য দিয়ে যায়। আবার দীর্ঘকাল ধরে একই দিকে প্রবণতাও লক্ষ্য করা যায়। অসংখ্য জটিল কারণ পৃথিবীব্যাপী এই সমুদ্রতলের উত্থান বা পতনের জন্য দায়ী। ভূতাত্ত্বিক যুগে সমুদ্রস্তরের বিশাল ওঠানামা ঘটেছে। পলল চক্র বিশ্লেষণ করে জানা গেছে আঠারো হাজার বছর আগে শেষ হিমযুগের সময় কুমেরুতে এতটাই বরফ সঞ্চিত ছিল যে, সমুদ্রতল প্রায় বর্তমানের তুলনায় গড়ে ১৩০ মিটার নীচে ছিল এবং মহিসোপানগুলোর (Continental shelf) বিস্তীর্ণ অঞ্চল ছিল শুষ্ক ভূমি। হিমবাহ-পরবর্তী যুগে প্রাথমিকভাবে সমুদ্রতলের উত্থান খুব তাড়াতাড়ি হয়েছে। যেমন ছ’হাজার বছর আগে হলোসিন যুগে সমুদ্রতল সবচেয়ে তাড়াতাড়ি বেড়েছে, প্রতি ১০০ বছরে ১ মিটার গত তিন হাজার বছরে এই তলের উচ্চতা প্রায় একইরকম ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, প্রতি বছরে ০.১ থেকে ০.২ মিলিমিটার। প্রথম লেখচিত্রে শেষ হিমযুগ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত সমুদ্রতলের উত্থান দেখানো হয়েছে।  ১৯০০ সালের পর থেকে এই হার ক্রমবর্ধমান, বছরে ১ থেকে ২ মিলিমিটারকৃত্রিম উপগ্রহের পাঠানো তথ্যের বিশ্লেষণে দেখা যায় সমুদ্র পৃষ্ঠ ১৯৯৩ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে উঠে আসছে প্রতি বছরে গড়ে ৩.২ মিলিমিটার। এত দ্রুত হারে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি বিশ্ব উষ্ণায়নের ফসল। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে দুটো প্রধান প্রক্রিয়া -- প্রথমত সমুদ্র গরম হচ্ছে ফলে সমুদ্র জলের তাপীয় প্রসারণ হচ্ছে এবং দ্বিতীয়ত, হিমবাহে সঞ্চিত বরফ গলছে

 

১নং লেখচিত্রঃ শেষ হিমযুগ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত সমুদ্রতল (প্রবাল ও পিট জীবাশ্ম থেকে পাওয়া তথ্য)

      সমুদ্রতলের হ্রাস-বৃদ্ধি নতুন ঘটনা নয়। পৃথিবীর ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস ঘাঁটলে আমরা দেখতে পাব এখন যে কটা মহাদেশ আছে সেগুলো একসময়ে দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে একসঙ্গে ছিল। সেই বিরাট ভূখণ্ডের নাম দেওয়া হয়েছে প্যাঞ্জিয়া সে সময়ে সেই মহাদেশের একসঙ্গে অনেকটা জায়গা জুড়ে জমে থাকত বরফ তার চারপাশের সমুদ্র প্যানথালাসা নামে পরিচিত। ৩৬ কোটি বছর আগে কার্বোনিফেরাস যুগে মহাদেশীয় চলন দ্রুত গতিতে শুরু হয়। ৩০ থেকে ২০ কোটি বছর আগে প্যাঞ্জিয়া ভেঙে আধুনিক মহাদেশগুলির জন্ম। পশ্চিমমুখী চলনে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের উৎপত্তি। অন্যদিকে নিরক্ষরেখামুখী চলনের জন্য গণ্ডোয়ানাল্যাণ্ডের কিছু অংশ উত্তরে সরে যাওয়ায় ভারত মহাসাগরের সৃষ্টি হয়। মহাদেশগুলো সরে সরে যাওয়ার জন্য তাদের ফাঁকে ফাঁকে সমুদ্রের তলার প্রসারণ ঘটে সৃষ্টি হয় আটল্যান্টিক ও ভারত মহাসাগর।   অবশিষ্ট যে জলভাগ পড়ে ছিল তাকেই আজ আমরা প্রশান্ত মহাসাগর নামে চিনি।      
      এইভাবে ক্রমে মহাদেশীয় পাতগুলোর চলনের ফলে একই জায়গায় বরফ জমার সুযোগ থাকে না। বরফের চাদর গলে জল হওয়াকে সমুদ্র পৃষ্ঠীয় তলে উচ্চতা বৃদ্ধির একটা অন্যতম কারণ ধরা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে ৩২ কোটি বছর আগের যুগে সমুদ্রতল অনেক নীচে ছিল। ১৪ কোটি বছর আগে আদি-ক্রিটেশিয়াস যুগে মেরুতে বরফের চাদর গলে যায়। ফলে সমুদ্রতল বেড়ে পৌঁছেছিল বর্তমানের থেকে ২৫০ মিটার উঁচুতে। সেই তল আবার নামতে থাকে  মধ্য-ক্রিটেশিয়াস যুগে ১০ কোটি বছর আগে। পরে আবার তা বেড়েছিল। দেখা যাচ্ছে হিমবাহ ও তুষার চাদরের হ্রাসবৃদ্ধি সমুদ্রপৃষ্ঠকে বিশেষ প্রভাবিত করেছে। হিমযুগে এদের বৃদ্ধি মহাসাগর থেকে বিপুল জলরাশিকে এনে মহাদেশীয় বরফের মধ্যে আটকে রাখে, ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের অবনমন ঘটেঅন্যদিকে দুই হিমযুগের মধ্যবর্তী সময়ে যখন পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়েছে, বরফ গলে গিয়ে উত্থান ঘটেছে পৃথিবীব্যাপী সমুদ্রপৃষ্ঠের
      সমুদ্রতলের ওঠানামার অন্য ভূতাত্ত্বিক কারণও আছে। পাতের চলনের ফলে কোথাও দুটো মহাদেশীয় পাত পরষ্পরকে ধাক্কা মেরে বিভিন্ন যুগে ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টি করেছে এবং সামুদ্রিক পাতের সংকোচন ঘটিয়ে সমুদ্রের জলতলকে দিয়েছে নামিয়ে; আবার কোথাও বা সামুদ্রিক পাত প্রসারিত হয়ে সমুদ্র-তলকে উঠিয়ে দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে গণ্ডোয়ানাল্যাণ্ড আর ইউরেশিয়ার মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত অগভীর সমুদ্রখাত টেথিস হিমালয় পর্বত সৃষ্টির সাথে সাথে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এই সময়  ভূত্বকের মহাদেশীয় অংশ  হ্রাস পায় এবং সমুদ্রতল প্রায় ২৬ মিটার নেমে যায়আবার অন্যদিকে দুটো সামুদ্রিক পাতের বিপরীতমুখী চলনের সময় ভূঅভ্যন্তর থেকে ম্যাগমা বেরিয়ে এসে সমুদ্রের তলায় শৈলশিরা, মালভূমি ও আরও অনেক ভূমিরূপ সৃষ্টি করে। এর ফলে সমুদ্রের জলধারণ ক্ষমতা কমে গিয়ে জলতল উঠে আসে। সাড়ে বাইশ কোটি বছর থেকে সাড়ে পাঁচ কোটি বছর আগের যুগের নাম মায়োসিন। এই সময় মধ্য-মহাসাগরীয় শৈলশিরার আয়তন বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সমুদ্রের জলতল অনেকখানি বেড়ে গিয়েছিল। এইভাবে বারবার পৃথিবীর বুকে আলোড়নের ফলে মহাসাগরগুলোর জলধারণক্ষমতার তারতম্য ঘটেছে আর তার ফলেই সমুদ্রপৃষ্ঠের ওঠানামা ।
      তাহলে বলা যেতে পারে যুগে যুগে সমুদ্রের সার্বিক পরিবর্তন প্রধানত দুটো দীর্ঘস্থায়ী বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। প্রথম কারণটা ভূতাত্ত্বিক। পাতের চলনের ফলে সমুদ্র-তলের সংকোচন-প্রসারণ সমুদ্রগুলোর জল ধারণ ক্ষমতার তারতম্য ঘটিয়েছে। দ্বিতীয় কারণ পৃথিবীব্যাপী জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তনে বারেবারে হিমযুগের আগমন। মহাদেশীয় বরফের গলন অথবা কঠিনীভবন সমুদ্রে জলের পরিমাণের পরিবর্তন ঘটিয়েছে। অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী কারণের মধ্যে তাপমাত্রার সঙ্গে জলের ঘনত্বের তারতম্যের ফলে সমুদ্রের জলের পরিমাণের পার্থক্যও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ শেষ কারণটার সঙ্গেও জড়িয়ে আছে জলবায়ু, যা বর্তমান কালের বিজ্ঞানীদের কপালে কতটা ভাঁজ ফেলছে। আশাকরি তা একটু বাদেই পরিষ্কার হবে।
      এখন দেখা যাক ইতিহাসে মানুষের সভ্যতার বিকাশকে সমুদ্রতলের ওঠানামা কতখানি প্রভাবিত করেছে। আফ্রিকায় এক থেকে দুই লক্ষ বছর আগে আধুনিক মানুষের জন্ম হয়েছিল। জিন গবেষণা ইঙ্গিত করছে যে যদি আমরা আজকের পৃথিবীর সকল মানুষদের মা, তাদের মা – এইভাবে বংশতালিকা তৈরি করি, তাহলে সবগুলো তালিকা গিয়ে মিলে যাবে মোটামুটি দেড় লক্ষ বছর আগে এক নারীতে । সেই নারীর সম্ভাব্য বাসস্থান পূর্ব আফ্রিকার ইথিয়োপিয়া-তানজানিয়া অঞ্চল। বাইবেলের কথা মনে রেখে বিজ্ঞানীরা সেই নারীর নাম রেখেছেন ইভ, যদিও বুঝতেই পারছেন এই ইভের সঙ্গে বাইবেলের গল্পের কোনো সম্পর্ক নেই। আফ্রিকা অন্য দুই মহাদেশ এশিয়া ও ইউরোপের সঙ্গে স্থলপথে যুক্ত, তাই খুব তাড়াতাড়িই এই দুই জায়গায় মানুষ বসতি স্থাপন করতে সক্ষম হয়সঠিক কাল নিয়ে বিতর্ক থাকলেও মোটামুটি একটা হিসাব পাওয়া সম্ভব। আনুমানিক পঁচাত্তর হাজার থেকে এক লক্ষ বছর আগে আফ্রিকা থেকে এশিয়াতে মানুষ প্রথম পৌঁছেছিল। ভারতে সত্তর হাজার বছর আগে মানুষ বসতি স্থাপন করেছিল। পশ্চিম ইউরোপে যেতে মানুষের সামান্য দেরি হয়ে গিয়েছিল। তাহলেও চল্লিশ হাজার বছর আগেই এই তিন মহাদেশের সর্বত্র মানুষকে খুঁজে পাওয়া যেত। কিন্তু সে সময় দীর্ঘ সমুদ্রযাত্রার কৌশল মানুষের আয়ত্তে আসেনি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে তাহলে সুদূর অস্ট্রেলিয়া বা আমেরিকা-- এই দুই মহাদেশে মানুষের পদচিহ্ণ কবে প্রথম পড়েছিল। কেমন করেই বা সেখানে তারা গিয়েছিল?
      আগেই দেখেছি অন্তিম হিমযুগে সমুদ্রের পৃষ্ঠদেশের  উচ্চতা আজকের দিনের থেকে মোটামুটি ১৩০ মিটার নীচে ছিলএশিয়া এবং আলাস্কা স্থলপথে বেরিং ল্যাণ্ডব্রিজ দিয়ে যুক্ত ছিল, যা এখন জলের তলায়। আনুমানিক পনেরো হাজার বছর আগে এশিয়া থেকে এই পথ দিয়ে আদিম মানুষ পদব্রজে উত্তর আমেরিকায় পৌঁছোয় ভারত থেকে মানুষ এই সময় হেঁটে গিয়ে শ্রীলঙ্কাতে বসতি স্থাপন করেছিল। অস্ট্রেলিয়া যদিও পঞ্চাশ হাজার বছর আগে দ্বীপ মহাদেশই ছিল, কিন্তু তখন সমুদ্রতল অনেক নীচে থাকায় দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দ্বীপগুলি থেকে জলপথে তখন সেখানে যাওয়া সহজ ছিল। এশিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে সে সময়ই মানুষ অস্ট্রেলিয়া পৌঁছোয়। তাসমানিয়া ও নিউ গিনি, যারা এখন দ্বীপ, তারা তখন অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল।  সঙ্গের মানচিত্রে মানুষ কত বছর আগে কোন পথে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে পৌঁছেছিল, তা দেখানো হয়েছে।
আধুনিক মানুষের পরিযাণ

      সমুদ্রতল নেমে গিয়ে একদিন মানব সভ্যতার প্রসারে সাহায্য করেছিল। আজ অতি দ্রুত নগরায়ণ ও শিল্পায়নের জন্য সেই সভ্যতাই সংকটের সম্মুখীন। সমুদ্রতল দ্রুত উঠে আসছে এবং মানুষই তার জন্য দায়ী। ভূতাত্ত্বিক কারণের উপর খোদকারি করার অবস্থায় আমাদের বিজ্ঞান এখনো পৌঁছয়নি। কিন্তু বর্তমানে সমুদ্রতলের দ্রুত বৃদ্ধির একটা অন্যতম কারণ বিশ্ব জুড়ে উষ্ণতার বৃদ্ধি অনিয়ন্ত্রিত ভাবে কয়লা ও খনিজ তেল পোড়ানোর সময় তৈরি হচ্ছে বিপুল পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড। বসতি ও শিল্পের প্রয়োজনে নির্বিচারে বনভূমি ধংস তাকে অক্সিজেনে রূপান্তরিত করার মূল প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া সালোক সংশ্লেষকে ব্যাহত করছে।  ফলে বায়ুমণ্ডলে এই গ্যাসের পরিমাণ ক্রমশই বেড়ে চলেছে। পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে সূর্যের তাপকে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে যেতে বাধা দেয় এই কার্বন ডাই অক্সাইড ও তার মতো অন্যান্য গ্রীন হাউস গ্যাস। ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। ১৮১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ০.৮৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। এই অতিরিক্ত তাপের নব্বই শতাংশই সমুদ্র জলের মধ্যে সঞ্চিত থাকে। ৭০০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত সমুদ্রের জলে জমা হয় ষাট শতাংশের বেশি তাপ।  তার ফলে সমুদ্রের জলের তাপমাত্রা বাড়ে এবং জলের তাপীয় প্রসারণ ঘটে। ১৯৭১ থেকে ২০১০, এই  চার দশকে সমুদ্রের তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ০.৪৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। সমুদ্র-জলে এই তাপসঞ্চয়ের মাত্রা নিম্ন অক্ষাংশের তুলনায় উচ্চ অক্ষাংশে বেশি বলে জল প্রসারণের মাত্রাও উচ্চ অক্ষাংশে বেশিতাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে হিমবাহ ও তুষার চাদর খুব দ্রুত গলে যাচ্ছে। এল-নিনো এবং লা-নিনোর মত সমুদ্রস্রোত পৃথিবীর জলবায়ুকে খেয়াল খুশি মত ওলট-পালট করছে। জানিয়ে রাখি এল-নিনো হল উষ্ণ সমুদ্র-স্রোত যা নিরক্ষীয় অঞ্চলে জলের তাপমাত্রা বাড়ার জন্য পেরু উপকূলের শীতল হামবোল্ট স্রোতকে সরিয়ে দিয়ে বয়ে যায়। ফলে সমুদ্রের উপর বৃষ্টিপাত বেড়ে সেখানের জলতলকে বাড়ায়। কিন্তু একই সঙ্গে ক্রান্তিয় অঞ্চলের মৌসুমি বায়ু শুষ্ক হয়ে স্থলভাগের উপর বৃষ্টি কমায় ও সেখানে খরা সৃষ্টি করে। ঠিক উল্টোটা হয় লা-নিনোর সময় । ২০১০-১১ সালে লা-নিনোর জন্য অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে স্থলভাগে বৃষ্টিপাত বেড়ে সেখানকার জলসঞ্চয় একদিকে যেমন বাড়িয়েছে, তেমনি সমুদ্রতল সাময়িকভাবে নামিয়ে দিয়েছে।  তবে সমুদ্রতলের উচ্চতার উপর এদের প্রভাব সাময়িক।
গ্রীনল্যাণ্ডের তুষার চাদর

      ইউনাইটেড নেশনসের রিপোর্ট অনুসারে শেষ ১০০ বছরে বিশ্বজনীন সমুদ্রতল (Eustatic Sea Level) গড়ে বেড়েছে ১০-২০ সেন্টিমিটার। আগামী ২১০০ সাল নাগাদ সমুদ্রজলের তাপীয় প্রসারণ ও বরফ গলনের জন্য আরও ৮৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বাড়বে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। দ্বিতীয় লেখচিত্রে ১৭০০ সালে থেকে বর্তমান পর্যন্ত সমুদ্রতলের বৃদ্ধির মাপ দেখানো হয়েছে। ভবিষ্যত সমুদ্রতল আরও কতটা বাড়বে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন তাও লেখচিত্র থেকে বোঝা যাচ্ছে। আইপিসিসির সাম্প্রতিকতম রিপোর্ট অনুযায়ী ১৯৯৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর গড়ে সমুদ্রতল বৃদ্ধি পেয়েছে ৩.২ মিলিমিটার। এর মধ্যে সমুদ্র জলের তাপীয় প্রসারণের জন্য বৃদ্ধি ১.১ মিলিমিটার, গ্রীনল্যাণ্ড ও আন্টার্টিকার তুষার চাদরের গলনের ফলে বৃদ্ধির পরিমাণ দু ক্ষেত্রেই ০.৩ মিলিমিটার এবং অন্যত্র হিমবাহের গলনের ফলে বৃদ্ধি পেয়েছে ০.৯ মিলিমিটার। তাহলে দেখা যাচ্ছে বিগত কয়েক শতাব্দী ধরে সমুদ্রতলের বৃদ্ধির জন্য মূলত দায়ী বিশ্বউষ্ণায়ণ।  
২নং লেখচিত্রঃ ১৭০০ সাল থেকে আগামী ২১০০ সাল পর্যন্ত সমুদ্রতল

       বছরে ৩.২ মিলিমিটার বৃদ্ধিটা খুব বেশি নয় বলে মনে হতেই পারে। কিন্তু এ ভাবে চলতে থাকলে ২১০০ সাল নাগাদ সমুদ্রতল আশি সেন্টিমিটার থেকে এক মিটার বেড়ে যাবে। তার ফল হতে পারে সাংঘাতিক। বিশেষ করে ভারত বাংলাদেশ সহ গোটা দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিকে তা পঙ্গু করে দিতে পারে।
      প্রথমেই ধরা যাক ভারতের কথা। আমাদের দেশের উপকূল ভাগের দৈর্ঘ্য প্রায় ৭৫০০ কিলোমিটার। উপকূল অঞ্চলের জনবসতি ঘনত্ব খুব বেশি।  সমুদ্রতলের উত্থানের ফলে ২০৫০ সাল নাগাদ শুধু ভারতেই প্রায় চার কোটি মানুষ বিপন্ন হয়ে পড়বে। জলের উচ্চতা ১ মিটার বাড়লে প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষকে সরাতে হবে। পৃথিবীর যে দশটা মহানগরের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে, তাদের মধ্যে দুটি ভারতে অবস্থিত – মুম্বাই ও কলকাতা।
      মনে হতেই পারে কলকাতা তো সমুদ্রতল থেকে প্রায় পাঁচ মিটার উচ্চতায়, তাই এক মিটার জল বাড়লে কি আর সমস্যা হবে? আসলে কলকাতা গাঙ্গেয় বদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত বলে সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস এখানে বিপদ ডেকে আনতে পারে। উষ্ণায়নের ফলে ঝড়ঝঞ্ঝার তীব্রতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৯৭০ সালে এক ঝড় পাশের দেশ বাংলাদেশে নয় মিটার জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি করেছিল। কয়েক বছর আগে আইলা ঝড়ের সময় সুন্দরবনের অবস্থার কথাও নিশ্চয় অনেকের মনে আছে। তার সঙ্গে অন্য এক সমস্যাও আছে। জাকার্তা, ব্যাঙ্কক, হো চি মিন সিটি, টোকিয়োর মতো নদী বদ্বীপ অঞ্চলে অবস্থিত এশিয়ার কয়েকটি শহর ক্রমশ মাটির তলায় তলিয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু রিপোর্ট অনুযায়ী ভূগর্ভের জল তুলে নেওয়ার ফলে কলকাতাও এই বিপদে পড়ছে। গত পঞ্চান্ন বছরে ডায়মণ্ডহারবারে জোয়ার ভাঁটা ও এই অঞ্চলে সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধির তথ্য বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞ্ররা দেখিয়েছেন এই অঞ্চল বছরে প্রায় ৪ মিলিমিটার বসে যাচ্ছে। এর উপর আসে জোয়ার ও বানের সময় জলোচ্ছ্বাস। সব মিলিয়ে কলকাতা, বিশেষ করে তার দক্ষিণ অংশ, বিরাট সমস্যার সম্মুখীন হতে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ অংশ বন্যা, ভূগর্ভের জলের লবণীভবন, জোয়ারের উচ্চতা বৃদ্ধি, উপকূলের ক্ষয়, ঝড়, উপকুলের সম্পদ হানি, জলনিকাশি ব্যবস্থার অবনতি ইত্যাদি কারণে বিপন্ন। 
সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস

      এশিয়ার দেশগুলি সমুদ্রতলের বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি বিপদের সম্মুখীন হতে চলেছে, কারণ এখানে উপকূল অঞ্চলে জনবসতি সর্বাধিক। ভারতের কথা আগেই বলেছি। ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের আড়াই কোটি, চিনের এবং ইন্দোনেশিয়ার দু কোটি করে, ফিলিপাইন্সের দেড় কোটি, এবং জাপান ও ভিয়েতনামের এক কোটি করে মানুষ উঠে আসা সমুদ্রতলের ফলে বিপদে পড়বেন। সবচেয়ে সমস্যায় পড়বেন সমাজের অপেক্ষাকৃত দরিদ্র অংশের মানুষেরা। বিপদ শুধুমাত্র যে তাঁদের বাসস্থানের তা নয়, চাষবাস সহ তাঁদের জীবিকার উপরেই আঘাত নেমে আসতে চলেছে । সমুদ্রতল উত্থান এখনই ইস্রায়েল ও থাইল্যাণ্ডের ভৌম জলের ভাণ্ডারকে বেশ কিছু জায়গায় লবণাক্ত করে ফেলেছে। পৃথিবীর অন্যতম উর্বর দুই বদ্বীপ চীনের ইয়াংসে ও ভিয়েতনামের মেকংকে গ্রাস করছে সমুদ্রের নোনা জল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান সহ বহু উন্নত দেশের উপকূলের নগরগুলিও বিপন্ন। অনেক ছোটো ছোটো দ্বীপ পৃথিবী থেকে  মুছে যাচ্ছে। এক মিটার জল বাড়লে বিস্তীর্ণ উপকূল অঞ্চল ও দ্বীপভূমি পানীয় জলের অভাবে বাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চলে জায়গায় জায়গায় একশো কিলোমিটার পর্যন্ত সমুদ্র ঢুকে আসতে পারে। শুধুমাত্র সুন্দরবন প্লাবিত হলেই তা হবে পরিবেশের পক্ষে ভয়ঙ্কর। বেশ কিছু প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদ লুপ্ত হবে। আমাজন অববাহিকার বনভূমিও একই সমস্যায় পড়বে।
      এক মিটার সমুদ্রতলের বৃদ্ধির অর্থ সারা পৃথিবীতে অন্তত ২২০০ বর্গকিলোমিটার ভূমি সমুদ্রের তলায় চলে যাবে। উপকূল ও বদ্বীপ অঞ্চল যে ক্রমশ উচ্চতা হারাচ্ছে, তা বাদ দিয়েই এই  হিসাব করা হয়েছে। অধিকাংশ দেশেই আর্থসামাজিক কারণেই উপকূল অঞ্চলে জনবসতির ঘনত্ব খুব বেশি। উপকূলের কৃষির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে মৎস্যচাষ, পর্যটন শিল্প, বসতি ইত্যাদি। ফলে বিশ্ব অর্থনীতির উপর বিরাট আঘাত আসবে। এর পাশাপাশি প্রভাব পড়বে বাস্তুতন্ত্রে --  উপকূলের ম্যানগ্রোভ অরণ্য ধংস হচ্ছে, বিনাশ ঘটছে প্রবাল প্রাচীরের, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সামুদ্রিক প্রাণী, উদ্ভিদ। এক হিসাবে অনুমান করা হয়েছে সমুদ্রতলের উত্থানের জন্য ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হবে ষাট লক্ষ কোটি টাকা।  এখনো পর্যন্ত যা বলা হল, তা সবই ২১০০ সালের কথা মাথায় রেখে আরও দীর্ঘকালীন হিসাব আরও নৈরাশ্যজনক হাজার বছরের মধ্যে গ্রীনল্যাণ্ডের তুষার চাদর সম্ভবত সম্পূর্ণ গলে যেতে পারে তাহলে সমুদ্রতলের উচ্চতা বাড়বে অন্তত ৭ মিটার যদি কোনোদিন আন্টার্টিকার বরফ চাদর গলে যায়, সমুদ্রতল উঠে আসবে ২৬০ মিটার! আগেই বলেছি, এমনই ঘটেছিল আদি-ক্রিটেশিয়াস যুগে
মালদ্বীপের রাজধানী মালেঃ সমুদ্রতলের উচ্চতা বাড়লে কী হতে পারে এই রকম দ্বীপে?

      বর্তমানে সমুদ্রতলের বৃদ্ধির মূল কারণ যেহেতু বিশ্ব উষ্ণায়ন, তাই বায়ুমণ্ডলে গ্রীন হাউস গ্যাসের পরিমাণ কমানো ছাড়া এই সমস্যার কোনো দীর্ঘকালীন সমাধান সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা সবাই জানি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ শিল্পোন্নত দেশগুলি এই ব্যাপারে কালক্ষয় ও দীর্ঘসূত্রিতার নীতি নিয়েছে। বহুদিন পর্যন্ত আমেরিকা উষ্ণায়ণকেই অস্বীকার করে চলেছিল। অথচ শিল্পোন্নত দেশগুলিই ঐতিহাসিক ভাবেই এর  জন্য দায়ী। শিল্প বিপ্লবের সময় থেকে তারা যে পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ করেছে, তা এখনো বায়ুমণ্ডলে রয়ে গেছে। তাদের মাথা পিছু গ্রীন হাউস গ্যাস তৈরির পরিমাণ উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলির তুলনায় আজও অনেক বেশি।
      একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা মনে রাখতে হবে -- এখন থেকে ব্যবস্থা নিলেও সমুদ্রতলের বৃদ্ধি সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ হয়ে যাবে না। বায়ুমণ্ডলে যদি গ্রীন হাউস গ্যাসের পরিমাণ আর না বাড়ে, তাহলেও সমুদ্রজলে অবরুদ্ধ তাপের জন্য এখনো কয়েক শতাব্দি জলতল বাড়তেই থাকবে। তাই এর সঙ্গে সঙ্গে আমাদের এক বিরাট সংখ্যার মানুষের জন্য বিকল্প বাসস্থান ও জীবিকার ব্যবস্থা করার প্রস্তুতি নিতে হবে । ভবিষ্যত বন্যার কথা মাথায় রেখে দীর্ঘকালীন পরিকল্পনা নিতে হবে। নীচু অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য বাঁধের ব্যাবস্থা আশু প্রয়োজন। সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে নির্মাণ কাজ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। দুঃখের হলেও মেনে নিতে হবে আমাদের দেশে অন্তত এবিষয়ে কোনো সচেতনতা বা অগ্রগতি চোখে পড়ছে না
      সমুদ্রতলে বৃদ্ধি বিষয়ে আইপিসিসি বা রাষ্ট্রসংঘের বিশ্লেষণের সঙ্গে সমস্ত বিশেষজ্ঞ যে একমত, তা নয়। কারো কারো মতে বিপদটা আসলে আরও অনেক বেশি। কেউ কেউ আবার বলেছেন সমুদ্রতলের বৃদ্ধি আসলে হচ্ছেই না, বা হলেও তার পিছনে মানুষের কোনো ভূমিকা নেই। বড় বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির সমর্থকদের বিশেষ করে দ্বিতীয় দলে পাওয়া যায়। তাঁরা নানাভাবে দেখাতে চান যে আইপিসিসির তথ্য আসলে ভুল। কিন্তু দীর্ঘকালীন তথ্য বিচার করে অধিকাংশ বিজ্ঞানীই এখন একমত যে সমুদ্রতলের বৃদ্ধি সত্যিই আমাদের সামনে বিপদ ডেকে আনছে।  প্রয়োজন তাই এ বিষয়ে চেতনার প্রসার এবং অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে জনমত গঠন। ইউনাইটেড নেশনসের এর একটা তথ্য অবশ্য কিছুটা আশাব্যাঞ্জক। তারা বলছে সমুদ্রজলের তাপীয় প্রসারণ উচ্চ অক্ষাংশে প্ল্যাঙ্কটনের বংশের আরও দ্রুত বৃদ্ধি ঘটাবে। প্ল্যাঙ্কটনের জলের  মধ্যকার কার্বনকে ধরে রাখার ক্ষমতা আছে। এর ফলে বাতাসের কার্বন ডাই অক্সাইড কমার কথা। বাস্তুতন্ত্রের এই হেরফেরে জলবায়ুতে ভবিষ্যতে এমনটা যদি ঘটে তবে তা সূদুর কালে কী প্রভাব ফেলবে সমুদ্রতলে সেটা আন্দাজ করা সত্যিই কঠিন। 

তথ্যসূত্র
১। Global Environmental Outlook 6: United Nations Environment Programme, 2016
২। Fifth Assessment Report of the Inter-Governmental Panel on Climate Change, 2013



প্রকাশঃ সৃষ্টির একুশ শতক উৎসব সংখ্যা ১৪২৩ (২০১৬)
      

Friday 9 June 2017

চিনে ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী

Thursday 1 June 2017

বিজ্ঞানী ওমর খৈয়াম