ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনঃ বেসরকারিকরণের পথে আরেক পদক্ষেপ
গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়
সংসদের বাদল অধিবেশনে পাস হয়েছে অনুসন্ধান ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন অ্যাক্ট, ২০২৩। এটি যখন আলোচনাতে এসেছিল তখন তার আগে অনুসন্ধান শব্দটি ছিল না, একমাত্র একটি শব্দ যুক্ত করার মাধ্যমে কী লাভ হল বোঝা কঠিন। এই অ্যাক্ট পূর্বতন সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ বোর্ড অ্যাক্ট, ২০০৮-এর জায়গা নিল। এর ফলে সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ বোর্ডের অবলুপ্তি ঘটল ও তৈরি হল অনুসন্ধান ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন। খুব সংক্ষেপে এই নতুন ফাউন্ডেশনের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি দেখে নেওয়া যাক।
গণিত সহ প্রকৃতি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, কৃষি, ভূবিজ্ঞান গবেষণার এবং বিজ্ঞান প্রযুক্তির সঙ্গে মানববিদ্যা ও সমাজবিজ্ঞানের সমন্বয় সাধনের দিক নির্দেশের দায়িত্বে থাকবে এই ফাউন্ডেশন। এই সংস্থা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গবেষণা প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ করবে এবং কেন্দ্র সরকার, রাজ্য সরকার, রাষ্ট্রীয় সংস্থা, বেসরকারি শিল্পসংস্থা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় সাধন করবে। এর গভর্নিং বোর্ডের সভাপতি হবেন প্রধানমন্ত্রী; এছাড়া বোর্ডে থাকবেন শিক্ষা ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা, নীতি আয়োগের একজন সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা, এবং উচ্চশিক্ষা, বিজ্ঞান প্রযুক্তি, জৈবপ্রযুক্তি এবং বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা বিষয়ক দপ্তরের সচিবগণ। এর বাইরে শিল্প, গবেষণা ইত্যাদির সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন বিশেষজ্ঞকে বোর্ডের সদস্য করা হবে। মানববিদ্যা ও সমাজবিদ্যা থেকেও একজন সদস্যকে নেওয়া হবে। দৈনন্দিন কাজ পরিচালনা করবে এক এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল যার সভাপতি হবেন মুখ্য বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা। বিজ্ঞান প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন দপ্তরের সচিবরা এবং তিনজন বিশেষজ্ঞ এই কাউন্সিলের সদস্য হবেন। এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছানুসারে আরো দুই দপ্তরের সচিব এর সদস্য হতে পারেন। সংসদের আলোচনা থেকে জানা যাচ্ছে পাঁচ বছরে মোট পঞ্চাশহাজার কোটি টাকা এই ফাউন্ডেশনের জন্য বরাদ্দ করে হয়েছে, তার আঠাশ শতাংশ আসবে সরকারি তহবিল থেকে, বাকি বাহাত্তর শতাংশ যোগাবে রাষ্ট্রীয় সংস্থা, বেসরকারি শিল্প সংস্থা, ও বিভিন্ন জনহিতকারী এমনকি আন্তর্জাতিক সংস্থা।
এখানে একটা কথা বলে নেওয়া প্রয়োজন, পরমাণু গবেষণা, মহাকাশ গবেষণার মতো বিষয়গুলি এই ফাউন্ডেশনের পরিধির বাইরে, মূলত বিশ্ববিদ্যালয় ও নানা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা, যাঁরা গবেষণার জন্য সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ বোর্ড থেকে সাহায্য পেতেন, তাঁদের জন্যই এই ফাউন্ডেশন।
সরকার উচ্চকণ্ঠে ঘোষণা করেছে এর ফলে দেশ উন্নত দেশের সারিতে জায়গা করে নেবে। কিন্তু সত্যিই কি তাই? অর্থ বরাদ্দের কথায় পরে আসব, কিন্তু তার আগে ফাউন্ডেশনের গঠনের দিকে তাকানো যাক। ফাউন্ডেশনের পরিচালন পদ্ধতি অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ, কেন্দ্রীকরণের ঝোঁকও খুবই সুস্পষ্ট। রাজ্য সরকারের মধ্যে সমন্বয় সাধনের কথা বলা হচ্ছে, অথচ গভর্নিং বোর্ড বা এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলে কোনো রাজ্যের প্রতিনিধি থাকছে না। ভারতের মতো বৈচিত্রপূর্ণ দেশে শুধুমাত্র দিল্লিতে বসে একটি সংস্থা স্থানীয় সমস্ত প্রয়োজন জেনে যাবে, এই চিন্তাই অবাস্তব। তেমনি রাষ্ট্রীয় সংস্থাকে অর্থ বিনিয়োগ করতে বলা হচ্ছে, অথচ তাদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। সর্বোপরি, অর্থ দপ্তর বা সমাজকল্যাণ বিষয়ক কোনো দপ্তরের প্রতিনিধি বোর্ডে নেই, কাউন্সিলে থাকাও কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছাধীন।
অর্থ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যে পরিমাণের কথা বলা হয়েছে তা এতই নগণ্য যে তা দেশের গবেষণা কাঠামোর উন্নতি দূরে থাক, বর্তমান কাঠামোকেও রাখতে পারবে কিনা সন্দেহ। বছরে দশ হাজার কোটি টাকার কথা বললেও তার মধ্যে সরকার খরচ করবে মাত্র ২৮০০ কোটি টাকা, যা প্রয়োজনের পক্ষে নিতান্তই অপ্রতুল। সরকার বর্তমানে যা খরচ করে, তার থেকে এই অঙ্কটা সামান্যই বেশি। উন্নত দেশের সমকক্ষ হতে গেলে গবেষণা খাতে অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে সন্দেহ নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রথম সারির প্রতিষ্ঠান ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি বা এমআইটির কথা ধরা যাক। সেখানে ২০২২ সালে মার্কিন কেন্দ্রীয় সরকার গবেষণা খাতে বরাদ্দ করেছে ৪১৫০ কোটি টাকা, বিভিন্ন স্থানীয় সরকার দিয়েছে ২০০ কোটি টাকা, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও জনহিতকর প্রতিষ্ঠান দিয়েছে ২০২০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে এক বছরে সেখানে বরাদ্দ হয়েছে ৬৫০০ কোটি টাকা। ভারতের পক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশের মতো অর্থ যোগান দেওয়া সম্ভব নয় মেনে নিয়েও এই হিসাবের পাশে আমাদের সরকার গোটা দেশের জন্য যে টাকা বরাদ্দ করেছে তা নিতান্তই অকিঞ্চিৎকর ঠেকে। সমস্ত দেশকে ধরলে সারা পৃথিবীতে মোট জিডিপির ১.৮ শতাংশ গবেষণা খাতে খরচ হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশের কথা ছেড়ে দিন; চিনের ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় ২০২১ সালে সরকারের থেকে গবেষণার জন্য পেয়েছে ৩৩০০ কোটি টাকা। চিন জিডিপির ২.১%, দক্ষিণ আফ্রিকা ৪.২%, ব্রাজিল ১.৫% গবেষণা খাতে খরচ করে। সেখানে আমাদের দেশে গবেষণা খাতে বরাদ্দ ২০০০ সালের তুলনায় ২৩% কমে ২০২২ সালে দাঁড়িয়েছে জিডিপি’র মাত্র ০.৬৫%।
আমাদের দেশে প্রতি লক্ষ মানুষ পিছু গবেষকের সংখ্যা ২৫। আর এই সংখ্যাটাই চিনে ১১৮, ব্রাজিলে ৮৮, থাইল্যান্ডেও ১৭৯। পক্ষান্তরে ২০০৩ সালে এক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই ভারতীয় গবেষকের সংখ্যা ছিল পাঁচ লক্ষ, ২০১৩ সালে তা বেড়ে হয়েছিল ৯.৫ লক্ষ। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, বিদেশে গবেষণারত অনেকেই সুযোগ পেলে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক, কিন্তু সরকারি স্তরে সেজন্য উদ্যোগ নিতান্তই সীমিত। ২০০৭ থেকে ২০১২ এই পাঁচ বছরে সরকারের বিজ্ঞান প্রযুক্তি দপ্তরের উদ্যোগের সহায়তায় মোট ২৪৩ জন দেশে ফিরেছিলেন, পরের পাঁচ বছরে সেই সংখ্যাটা বেড়ে হয় ৬৪৯ জন। যে সংখ্যক গবেষক বিদেশে যাচ্ছেন, তার এক ভগ্নাংশকেও এভাবে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না।
এই ব্রেন ড্রেনের কথা আমরা সবাই জানি, কিন্তু ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের কোনো দিশা দেখাচ্ছে না। তার কারণ হল ফাউন্ডেশনের নিয়মে পরিকাঠামোর উন্নতির কোনো উল্লেখ নেই। আমাদের দেশে বারোশোর বেশী বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রায় চল্লিশ হাজার কলেজ আছে, এর এক শতাংশও গবেষণার সঙ্গে যুক্ত নয়। তার কারণ পরিকাঠামোর অভাব। ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন নিয়ে আলোচনার সময় এই সমস্ত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণাতে সাহায্য করার কথা বলা হয়েছে, কিন্তু তা হল প্রকল্পভিত্তিক। পরিকাঠামোর সার্বিক উন্নতিতে যে ধরনের সাহায্য প্রয়োজন, তার কোনো উল্লেখ নেই। ইচ্ছা থাকলেও পরিকাঠামোর অভাবে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে গবেষণা সুদূরকল্পনা ছাড়া আর কিছু নয়। আমাদের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ শিক্ষক পদ শূন্য। সেগুলি পূর্ণ করার কোনো চেষ্টা কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে হচ্ছে না। এই অ্যাক্টও সে সম্পর্ক নীরব। পূর্ণ সময়ের শিক্ষকের পরিবর্তে আংশিক সময়ের শিক্ষক, অতিথি শিক্ষক, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ইত্যাদি দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে; তাঁদের গবেষণাতে যুক্ত করার প্রশ্নই ওঠে না। ফলে বিদেশ থেকে যে গবেষকরা ফিরতে ইচ্ছুক, তাঁরা কোনো দিশা দেখতে পাচ্ছেন না। বিজ্ঞান-প্রযুক্তি দপ্তর তাঁদের জন্য যে সীমিত সংখ্যক ফেলোশিপের ব্যবস্থা করেছেন, স্বাভাবিক ভাবেই তা মাত্র কয়েক বছরের জন্য; তার পরে দেশে কোনো রকম স্থায়ী বা দীর্ঘকালীন কর্মসংস্থানের কোনো সুযোগ নেই বললেই চলে। একই ভাবে বিজ্ঞান গবেষণাতে আগ্রহী ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে, কারণ সরকারি ফেলোশিপের সংখ্যা ক্রমশই কমছে, এবং ডক্টরেট করার পরে তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হবে তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না। অন্যদিকে ফেলোশিপ পাঠানোতেও দেরি হচ্ছে। এই সমস্ত সমস্যার প্রভাবে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও ক্রমশ কমছে।
সরকার বলতেই পারেন যে শুধুমাত্র সরকারি নয়, বেসরকারি ও জনহিতকর প্রতিষ্ঠানও যেন গবেষণার মূল দায়িত্ব নেয়, সেটাই এই ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য। এ কথা সত্য যে উন্নত দেশে এই ধরনের প্রতিষ্ঠান গবেষণাতে বিনিয়োগে একটা মুখ্য ভূমিকা নেয়। ভারতের ক্ষেত্রে সেটা খুবই কম; গবেষণা খরচের মাত্র তিরিশ শতাংশ আসে বেসরকারি ক্ষেত্র থেকে। ফাউন্ডেশনের ক্ষেত্রে সত্তর শতাংশের বেশি খরচ বেসরকারি সংস্থা, জনহিতকর সংস্থা বা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র থেকে আসার কথা বলা হয়েছে। আমাদের দেশে জনহিতকর সংস্থা থেকে দানের নজির বেশি নেই; তার থেকে কী আশা করা হচ্ছে স্পষ্ট নয়। আগে যে এমআইটির উদাহরণ এসেছে, সেখানে দেখেছি বেসরকারি শিল্প সংস্থা সরাসরি বিনিয়োগ করছে মোট ব্যয়ের তিরিশ শতাংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিন্তু আসলে বেসরকারি ক্ষেত্র অনেক বেশি বিনিয়োগ করে; অধিকাংশ বৃহৎ সংস্থার নিজস্ব গবেষণাগার আছে। কয়েকটি বিশেষ ক্ষেত্র বাদ দিলে আমাদের দেশের বেসরকারি ক্ষেত্র দেশীয় গবেষণাতে বিনিয়োগ করে না, বিদেশ থেকে প্রযুক্তি কিনতেই তারা বেশি আগ্রহী। বেসরকারি সংস্থাকে ফাউন্ডেশনের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে অর্থ যোগাতে হবে এরকম কোনো কথা অ্যাক্টে নেই। এই ধরনের সংস্থা নিজে থেকে তখনই বিনিয়োগ করবে যখন তার থেকে সে কোনো লাভ পাবে। দেশীয় ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে হলেও স্বাভাবিক ভাবে বেসরকারি সংস্থা প্রাথমিকভাবে নিজের প্রয়োজনের কথা ভাববে। সরাসরি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে তার নিজস্ব প্রয়োজন মেটানোর জন্য অর্থ বিনিয়োগ না করে ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনে অর্থ দিলে তার পরিবর্তে সে কী সুবিধা পাবে তার হিসাব তাকে করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের সত্তর শতাংশের বেশি অর্থ যদি কোনো উৎস থেকে আসে, সেই যে প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ করবে এটা বোঝা শক্ত নয়। অর্থাৎ এর ফলে সরকারি অর্থের উপরেও বেসরকারি নিয়ন্ত্রণ চালু হবে। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের মৌলিক প্রয়োজনের পরিবর্তে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের লাভলোকসানের অঙ্কই সেখানে নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা নেবে। এমনিই বর্তমান সরকার মৌলিক গবেষণা ছেড়ে দিয়ে প্রাচীন শাস্ত্রের মধ্যে আধুনিক বিজ্ঞান খুঁজতে ব্যস্ত। গরুর দুধে সোনা, পঞ্চগব্য, বা মহাভারতের যুগে বিমান ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা সারা পৃথিবীর কাছে আমাদের হাস্যাস্পদ করে তুলছে। বাণিজিক লাভের জন্য বিনিয়োগের বাইরে যে সামান্য অর্থ পড়ে থাকবে, তা যে এই সমস্ত উদ্ভট মূল্যহীন অনুসন্ধানে খরচ হবে, এই আশঙ্কা মোটেই অমূলক নয়।
সব মিলিয়ে বলতে পারি যে ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় সরকারের অন্য গালভরা প্রতিশ্রুতির থেকে বেশি কিছু নয়। কোনোভাবেই তা দেশের গবেষণা ক্ষেত্রের পরিস্থিতির কোনো মৌলিক পরিবর্তন ঘটাতে পারবে না, তার আসল উদ্দেশ্যকে চাপা দেওয়ার জন্যই প্রচারের এই ঢক্কানিনাদ।
(প্রকাশঃ শতমুখী নভেম্বর ২০২৩)
No comments:
Post a Comment