Monday, 15 September 2025

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সালতামামি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সালতামামি

গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়


ইদানীং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্স বিষয়ে বহু কথা শোনা যাচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাকে বলে, তার বিভিন্ন দিক, তার বৈজ্ঞানিক, প্রাযুক্তিক ও সামাজিক তাৎপর্য এই সংখ্যার নানা প্রবন্ধে আলোচিত হয়েছে। নিউরাল নেটওয়ার্ক, মেশিন লার্নিং, ডিপ লার্নিং এই ধরনের কিছু পরিভাষা এই লেখাতে ব্যবহৃত হয়েছে, যাদের ব্যাখ্যা সেই সব প্রবন্ধে পাওয়া যাবে। এই লেখাতে আমরা শুধুমাত্র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাসের বিভিন্ন মাইলফলকের কথা শুনব।

আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্স বাক্যবন্ধটি অপেক্ষাকৃত নতুন, ১৯৫৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডার্টমাউথ কলেজে আয়োজিত এক আলোচনাচক্রে এক গবেষণাপত্রে এটি প্রথম ব্যবহার হয়। লেখক ছিলেন চারজন -- জন ম্যাকার্থি, মার্ভিন মিনস্কি, নাথানিয়েল রচেস্টার ও ক্লড শ্যানন। তবে বাস্তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তির জন্ম বিংশ শতকে হলেও তার অনেক আগেই মানুষের কল্পনাতে তা এসেছে; সাহিত্যে তার প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই। জোনাথন সুইফট তাঁর গালিভার্স ট্রাভেলস-এ লাপুটা দ্বীপে এমন এক 'ইঞ্জিন'-এর কথা বলেছিলেন যার হাতল ঘুরিয়ে দর্শন, কবিতা বা গণিত বিষয়ক বই পাওয়া যায়। প্রথম সার্থক কল্পবিজ্ঞান হিসাবে অনেকেই মেরি শেলির ফ্রাঙ্কেনস্টাইন-এর (১৮২১) কথা বলেন। সেই উপন্যাসে ডক্টর ফ্রাঙ্কেনস্টাইন যে মানুষকে সৃষ্টি করেছিলেন, তাকে আমরা হয়তো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার স্তরে ফেলতে পারি। তবে তার মস্তিষ্ক মানুষের শবদেহ থেকে পাওয়া গিয়েছিল। যন্ত্রের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কথা প্রথম বলেছিলেন স্যামুয়েল বাটলার। ১৮৬৩ সালে তিনি ডারউইন অ্যামং দি মেশিন্‌স- প্রবন্ধে তিনি যন্ত্রের বিবর্তন ও বুদ্ধির উন্মেষ বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন। তার চার বছর আগে প্রকাশিত হয়েছিল ডারউইনের যুগান্তকারী গ্রন্থ অরিজিন অফ স্পিসিস। বাটলারের চিন্তার মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অন্যতম অঙ্গ মেশিন লার্নিং-এর সূত্র খুঁজে পাই। বিংশ শতাব্দীতে আরো অনেকেরই নাম করা যেতে পারে। ক্যারল চাপেক-এর নাটকে যন্ত্রমানব মানুষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে। সেই নাটক থেকেই ইংরাজি ভাষাতে রোবট শব্দটির আবির্ভাব হয়। আর্থার সি ক্লার্ক ২০০১-এ স্পেস ওডিসি উপন্যাসে কম্পিউটার HAL মানসিক দ্বন্দ্বের শিকার হয়েছে, আবার তার পরের উপন্যাস ২০১০-এ স্পেস ওডিসিতে কম্পিউটার বিজ্ঞানী চন্দ্র তাকে চিকিৎসা করে সুস্থ করে তুলেছেন। বাস্তবে না হোক, সাহিত্যে অনেকদিন আগেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ন্যাচারাল বা প্রাকৃতিক বুদ্ধির কাছে এসে পৌঁছেছে।

গালিভার্স ট্রাভেলস হল মূলত ব্যাঙ্গধর্মী রচনা, সুইফটের গল্পের 'ইঞ্জিন'-ও রেমন লুল ও গটফ্রিড লিবনিৎজের এমন এক প্রস্তাবকে বিদ্রূপ করেছিলেন, যার মধ্যে আধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এক চিন্তার সন্ধান আমরা পাই। রেমন লুল (১২৩২-১৩১৬) ছিলেন স্পেনের এক ধর্মযাজক, তিনি খ্রিস্টধর্মের সত্যতা প্রমাণের জন্য কতকগুলি সাধারণ নীতির উপর নির্মিত এক যুক্তিশাস্ত্রের কথা বলেছিলেন। লুলের চিন্তাকে প্রসারিত করে ক্যালকুলাসের অন্যতম আবিষ্কারক লিবনিৎজ ১৬৬৬ সালে প্রস্তাব করেন যে মানুষের চিন্তারও এক বর্ণমালা আছে, এবং যে কোনো জটিল ধারণাকে স্বল্পসংখ্যক সরল ধারণার সাহায্যে প্রকাশ করা যায়। লিবনিৎজ অবশ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কথা বলেন নি, কিন্তু চিন্তাকে এভাবে প্রকাশের কথা বলে তিনি সেই পথ খুলে দিয়েছিলেন।

মেশিন লার্নিং-এর এক স্তম্ভ হল বেইজের উপপাদ্য। ইংরাজ দার্শনিক গণিতবিদ ও যাজক টমাস বেইজ এই উপপাদ্যটি আবিষ্কার করেন, তবে তিনি সেটি নিজের কাছেই রেখে দিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর দু' বছর পরে ১৭৬৩ সালে সেটি প্রকাশিত হয়। এর পর ঊনবিংশ শতকের মাঝামাঝি ইংরাজ গণিতবিদ জর্জ বুল বলেন যে মানুষ যেভাবে যুক্তি দিয়ে চিন্তাভাবনা করে, তাকে গণিতের সমীকরণের আকারে প্রকাশ করা সম্ভব। বুলের প্রস্তাবিত বীজগণিত হল আধুনিক কম্পিউটারের প্রাণ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মূলত কম্পিউটারের মাধ্যমেই রূপায়িত করা হচ্ছে। চার্লস ব্যাবেজকে মনে করা হয় যন্ত্রের সাহায্যে গণনা অর্থাৎ কম্পিউটারের আবিষ্কারক। ১৮২০-র দশকে তাঁর তৈরি ডিফারেন্স ইঞ্জিনকে প্রথম যন্ত্রগণক বা কম্পিউটার বলা হয়। কাউন্টেস আডা লাভলেস ব্যাবেজের ইঞ্জিনের জন্য প্রথম প্রোগ্রাম লিখেছিলেন।

উনিশশো চল্লিশ ও পঞ্চাশের দশককে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সূচনাপর্ব বলা যেতে পারে। ১৯৪৩ সালে দুই মার্কিন গবেষক ওয়ারেন ম্যাকুলোক ও ওয়াল্টার পিটস এক গবেষণাপত্রে স্নায়ুতন্ত্রকে কতকগুলি আদর্শায়িত কৃত্রিম নিউরোন অর্থাৎ স্নায়ুকোষের জালিকা বা নেটওয়ার্ক হিসাবে প্রকাশ করেন। তাঁদের প্রস্তাবিত কৃত্রিম নিউরোনগুলি বুলের বীজগণিতকে রূপায়িত করতে পারে। এ থেকেই পরবর্তীকালে নিউরাল নেটওয়ার্ক ও ডিপ লার্নিং-এর চিন্তা আসে। ১৯৫৬ সালে মার্ভিন মিনস্কি ও ডিন এডমন্ডস তৈরি করেছিলেন প্রথম কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্ক SNARC (Stochastic Neural Analog Reinforcement Calculator)। তখন ছিল ভ্যাকুয়াম টিউবের যুগ, তিন হাজার ভ্যাকুয়াম টিউব ব্যবহার করে চল্লিশটি কৃত্রিম নিউরোনের নেটওয়ার্ক সৃষ্টি করা হয়।

ব্রিটিশ বিজ্ঞানী অ্যালান টুরিং-কে আধুনিক কম্পিউটার বিজ্ঞানের জনক মনে করা হয়, তিনি ১৯৫০ সালে এমন এক পরীক্ষার কথা বলেন যাতে উত্তীর্ণ হলে কোনো যন্ত্রকে বুদ্ধিমান বলা যাবে। টুরিং অবশ্য বাস্তব বুদ্ধিমান যন্ত্র নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন এমন নয়, তিনি সেই যন্ত্রের মূলনীতিগুলি স্পষ্ট করতে চেয়েছিলেন। প্রথম যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সন্দেহাতীতভাবে টুরিং পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ হয় তা হল GPT-4.5 ; ২০২২ সালে নেচার পত্রিকাতে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে সেই খবর প্রকাশ করা হয়। এই লেখার জন্য ChatGPT-র সাহায্য নেওয়া হয়েছে, তা GPT-4.5-এর উপরেই তৈরি। ১৯৫৯ সালে আর্থার স্যামুয়েল প্রথম মেশিন লার্নিং এই শব্দবন্ধটি ব্যবহার করেন; এক বিশেষ খেলাতে কম্পিউটার প্রোগ্রাম যদি তার স্রষ্টা প্রোগ্রামারের থেকেও বেশি ভালো খেলতে পারে, সেই ধরনের প্রোগ্রামকে তিনি মেশিন লার্নিং নাম দিয়েছিলেন। 

অ্যালান টুরিং

১৯৫০-এর দশকের গবেষকরা ভেবেছিলেন অল্পদিনের মধ্যেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সৃষ্টি করা যাবে, তাই বিভিন্ন সরকার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গবেষণাখাতে অনেক অর্থ বিনিয়োগ করেছিল। কিন্তু উনিশশো সত্তরের দশক থেকে বোঝা যায় যে বিষয়টা অত সহজ হবে না, তারপর থেকে অর্থের স্রোত শুকিয়ে এসেছিল। মাঝে উনিশশো আশির দশকের সূচনাতে আবার এই বিষয়ে আগ্রহের সৃষ্টি হলেও তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ১৯৯০-এর দশকে আবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণা পুরোদমে শুরু হয়। টুরিং টেস্টে উত্তীর্ণ না হলেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বেশ কিছু সাফল্য পেতে শুরু করে। প্রথম কোনো কম্পিউটার দাবাতে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার রেটিং পায় ১৯৮১ সালে। ১৯৯৭ সালে দাবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন গ্যারি কাসপারভ ডিপ ব্লু সুপার কম্পিউটারের কাছে পরাজিত হন। ডিপ ব্লু আইবিএম কোম্পানির তৈরি, তাদেরই নির্মিত ওয়াটসন ২০১১ সালে জিওপার্ডি খেলাতে মানুষ চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে দেয়।

ডিপ ব্লু-তে ছিল ২৫৬টি প্রসেসর যারা সমান্তরালভাবে কাজ করে এক সেকেন্ডে কুড়ি কোটি সম্ভাব্য চাল গণনা করতে পারে। ফলে ডিপ ব্লু যে কোনো পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতের চোদ্দটি চাল পর্যন্ত বিশ্লেষণ করে। ভাষাতত্ত্ববিদ নোয়াম চমস্কি বলেছিলেন যে এভাবে দাবা খেলা জেতা আর বুলডোজারের মেশিনের অলিম্পিকে ওয়েটলিফটিং স্বর্ণপদক জেতা একই ব্যাপার। চিনের এক প্রাচীন খেলা গো দাবার থেকেও জটিল। ২০১৬ সালে গুগলের আলফাগো কম্পিউটার বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় দক্ষিণ কোরিয়ার লী সেডলকে হারিয়ে দেয়। আলফাগো ডিপ ব্লু-এর মতো অসংখ্য চালের বিশ্লেষণ করে না, নিউরাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তাকে মানুষের মতো খেলতে শেখানো হয়েছে। তার স্ট্র্যাটেজির মৌলিকত্ব দর্শকদের স্তম্ভিত করে দিয়েছিল

২০১২ সালে আলেক্স ক্রিজেভস্কি তৈরি করেন আলেক্সনেট। তাঁকে সাহায্য করেছিলেন ইলিয়া সুতস্কেভার ও জিওফ্রে হিনটন। আলেক্সনেট হল এক নিউরাল নেটওয়ার্ক যা ছবির বস্তুকে চিনতে পারে। আলেক্সনেটে ছিল সাড়ে ছয় লক্ষ নিউরোন ও ছ' কোটি প্যারামিটার। আলেক্সনেট থেকেই ডিপ লার্নিং-এর সূচনা হল বলা যেতে পারে।

একুশ শতকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যে বিকাশ ঘটেছে তার সমস্ত বিবরণ এই লেখার পরিসরে দেওয়া অসম্ভব। শতাব্দীর সূচনা থেকেই আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্স সাধারণ দৈনন্দিন কাজেও ব্যবহার হতে শুরু হয়ে গেছে। ২০০২ সালে রুম্বা কোম্পানি প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত ভ্যাকুয়াম ক্লিনার নিয়ে আসে। তার সব থেকে বড় গুণ ছিল সে সিঁড়ি দিয়ে গড়িয়ে পড়ে যেত না। ২০০৯ সালে গুগল চালকবিহীন গাড়ি তৈরি করে। এখন বহু দেশেই এই ধরনের গাড়িকে রাস্তায় দেখতে পাওয়া যায়। ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ আমরা অনেকেই ব্যবহার করি। সেগুলি তো বটেই, গোটা ইন্টারনেটই এআই-এর উপর নির্ভর করে। ২০১০-এর দশকে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট তৈরি হয়। অ্যাপলের সিরি (২০১১), মাইক্রোসফটের কর্টানা (২০১৪), বা আমাজনের আলেক্সার (২০১৪) মতো ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রাম মোবাইল বা কম্পিউটারে মুখের কথাকে কম্পিউটারের ভাষাতে পরিবর্তন করে, কম্পিউটার বা মোবাইল সেই নির্দেশ পালন করে

গত এক দশকে আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্সে লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলদের প্রাধান্য দেখা যাচ্ছে। এই সমস্ত মডেলে মানুষের ভাষাকে ও কম্পিউটারের ভাষাতে রূপান্তরিত করে, আবার কম্পিউটারের ভাষাকেও মানুষের বোধ্য আকারে অনুবাদ করে। অনেক মডেলে ২০১৮ সালে উদ্ভাবিত Bidirectional encoder representations from transformers (BERT) ব্যবহার করা হয় । আগে GPT-র কথা এসেছে, এটি একটি লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল। আরো অনেক এই ধরনের মডেল আছে, যেমন Qwen, Gemini, Granite ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ছাপ রেখেছে বিজ্ঞানের নানা শাখাতে, তা নিয়ে আলোচনার সুযোগ এই লেখাতে নেই। উল্লেখ করা যায় যে ২০২৪ সালে পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন দুই বিভাগেই নোবেল পুরস্কারজয়ীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নিয়েছেন। পদার্থবিজ্ঞানে দুই নোবেলজয়ী জন হপফিল্ড ও জিওফ্রে হিন্টন নিউরাল নেটওয়ার্কের সাহায্যে মেশিন লার্নিং পদ্ধতির বিকাশের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে প্রোটিনের গঠন সংক্রান্ত এক পঞ্চাশ বছরের পুরানো সমস্যার সমাধানের জন্য ডেমিস হাসাবিস ও জন জাম্পারকে রসায়নশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এই পুরস্কারের মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে এই যুগে বিজ্ঞানপ্রযুক্তির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

এই লেখাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রাযুক্তিক বিকাশের কয়েকটি বিশেষ ধাপের কথাই বলা হল। বিশেষ করে চেতনা ও বুদ্ধিমত্তার সম্পর্ক, বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নৈতিক দিক নিয়ে আরো অনেক গবেষণা হয়েছে যাদের উল্লেখ এই লেখার সীমাবদ্ধ পরিসরে সম্ভব হল না। কম্পিউটার প্রযুক্তির যে দ্রুত বিকাশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্মেষে সাহায্য করেছে তার বিষয়েও এই প্রবন্ধে কিছু বলা হল না। এই সংখ্যার অন্যান্য লেখাতে আরো অনেক বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।

কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ এই লেখা তৈরি করতে ChatGPT-র সাহায্য নেওয়া হয়েছে। শুভাশিস মুখোপাধ্যায়ের লেখা বোধবিজ্ঞান বইটি থেকেও নানা তথ্য পেয়েছি। বন্ধু নবেন্দু চাকি লেখাটি পড়ে তাঁর মতামত জানিয়েছেন।


প্রকাশঃ জ্ঞান ও বিজ্ঞান, জুলাই 2025

No comments:

Post a Comment