ভুলে যাওয়া বিজ্ঞানী ফণীন্দ্রনাথ ঘোষ
গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়
আমাদের অবিভক্ত ২৪ পরগণা জেলাতেই জন্মেছিলেন একজন, যিনি এখন প্রায় বিস্মৃত। অথচ এক সময় পশ্চিমের বিজ্ঞান জগতে তাঁর পরিচিতি ছিল Best Measuring Man of the East এই নামে। আমরা যে সমস্ত বিজ্ঞানীদের মনে রেখেছি, তাঁদের সেই কীর্তির পিছনে অনেকেই থাকেন যাঁরা পাদপ্রদীপের আলো থেকে বঞ্চিত হন। বিশেষ করে যাঁরা গবেষণার পরিকাঠামো নির্মাণে জীবনের অনেকটা সময় ব্যয় করেন, ইতিহাস তাঁদের কথা ভুলে যায়। ফণীন্দ্রনাথ ঘোষ বা পি এন ঘোষ তেমনই এক ব্যক্তিত্ব।
ফণীন্দ্রনাথের জন্ম ১৮৮৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বর্তমান দক্ষিণ ২৪ পরগণার মজিলপুর গ্রামে। ছোটবেলাতেই তাঁর বাবা মারা যান, তারপর বেশ কষ্টের মধ্যেই তাঁকে পড়াশোনা চালাতে হয়েছিল। স্থানীয় মজিলপুর এইচ ই স্কুল থেকেই ম্যাট্রিক পাস করেন, তারপরে ভর্তি হন কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজে। সেখানে পদার্থবিদ্যার অনার্স নিয়ে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বি এ ডিগ্রি পান। (তখনো বিএসসি ডিগ্রি চালু হয়নি) দ্বিতীয় বিভাগে পাস করেছিলেন, তবে সেই বছর পদার্থবিদ্যা রসায়ন মিলিয়ে তিনিই প্রথম। এরপরে পদার্থবিদ্যাতে স্নাতকোত্তর শিক্ষার জন্য প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন।
তখন এম এ পড়ানো হত প্রেসিডেন্সি কলেজে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান তখনো শুরু হয়নি। সেই সূচনাপর্বের কথা আমাদের লেখাতে আসবে। ১৯০৮ সালে তিনি এম এ পরীক্ষাতে পাস করেন। পরীক্ষাতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হওয়ার ফলে সরকারি চাকরির সুযোগ তাঁর সামনে এসেছিল। কিন্তু তাঁর ইচ্ছা ছিল প্রযুক্তির দিকে, তাই ভারতের প্রাচীনতম ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান জেসপ ইঞ্জিনিয়ারিঙ ওয়ার্ক্সে তিনি শিক্ষানবীশ হিসাবে কাজ শুরু করেন। এ কথা বলা প্রয়োজন যে সেটা ছিল খুবই বিরল ঘটনা, কারণ তখন শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বাঙালিদের মধ্যে পরিশ্রমের কাজে প্রতি খুবই অনীহা ছিল। কিন্তু ফণীন্দ্রনাথ ছিলেন অন্য ধাতুতে গড়া।
তবে ইচ্ছা থাকলেও সেই মুহূর্তে তাঁকে ইঞ্জিনিয়ারিং-এর আশা ছাড়তে হয়েছিল, কারণ আর্থিক অনটন। শিক্ষানবীশের কাজে বিশেষ বেতন মিলত না, ভবিষ্যতেরও কোনো স্থিরতা ছিল না। তাই ১৯১০ সাল থেকে তিনি বঙ্গবাসী কলেজে পড়ানো শুরু করেন। তবে ইঞ্জিনিয়ারিংকে একেবারে তযাগ করেননি, একই সঙ্গে তিনি নানা শিল্পকে প্রযুক্তি বিষয়ে পরামর্শ দিতেন। আমরা দেখব যে এই কাজ তিনি সারাজীবন করে গেছেন।
আশুতোষ মুখোপাধ্যায় উপাচার্য হওয়ার পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরেই পড়ানো শুরু হয়, তার আগে তা হত শুধু কলেজে। বিজ্ঞান কলেজ শুরু হয়েছিল ১৯১৪ সালে দুই ব্যারিস্টারের অর্থসাহায্যে; তারকনাথ পালিত দিয়েছিলেন প্রায় চোদ্দ লক্ষ টাকা, রাসবিহারী ঘোষ দিয়েছিলেন দশ লক্ষ টাকা। তাঁদের দুজনের সেই মোট দান আজকের হিসাবে কয়েকশো কোটি টাকা। পদার্থবিদ্যা বিভাগে দুই প্রধান অধ্যাপক পদ ছিল পালিত ও ঘোষ অধ্যাপক; ১৯১৪ সালে সেই দুই পদে যথাক্রমে চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন ও দেবেন্দ্রমোহন বসুকে নিয়োগ করা হয়। রামন ছিলেন সরকারি চাকুরে, তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিতে দেরি হয়েছিল। দেবেন্দ্রমোহন বসু যোগদানের পরে চাকরির শর্ত অনুসারে গবেষণা করতে জার্মানিতে দু' বছরের জন্য যান। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের জন্য সেখানে আটকে পড়েন; ১৯১ সালের আগে তিনিদেশে ফিরতে পারেননি।
ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ১৯১৬ সালে, কিন্তু বিভাগে কোনো শিক্ষক নেই। এই পরিস্থিতিতে আশুতোষ অবিলম্বে দু'জন শিক্ষক নিয়োগ করেন এবং কয়েকজন গবেষক ছাত্রকে ক্লাস নেওয়ার নির্দেশ দেন। ফণীন্দ্রনাথের পড়ানোর সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল, তাই আশুতোষ তাঁকে পদার্থবিদ্যা বিভাগে নিয়োগ করেন। সেই হিসাবে তিনি বিভাগের প্রথম দুই পূর্ণসময়ের শিক্ষকের মধ্যে একজন হিসাবে। মাইনে ছিল ২০০ টাকা, বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট ২৫ টাকা। একই সময়ে গবেষক হিসাবে যোগ দিয়ে যাঁরা পদার্থবিদ্যা বিভাগে ক্লাস নিতে শুরু করেন, তাঁদের মধ্যে তিনজনের নাম সবাই আমরা জানি, শিশিরকুমার মিত্র, মেঘনাদ সাহা ও সত্যেন্দ্রনাথ বসু।
পরের বছর রামন বিভাগে যোগ দিলেন। ফণীন্দ্রনাথের তখন ৩৩ বছর বয়েস, গবেষণা শুরুর পক্ষে বয়সটা বেশিই। কিন্তু বয়সে চার বছরের ছোট রামনের দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি তাঁর অধীনে গবেষণা শুরু করেন। ১৯১৮ সালে রমনের সঙ্গে যৌথভাবে তিনি প্রথম গবেষণাপত্র ছাপেন। নেচার পত্রিকাতে প্রকাশিত সেই চিঠিটির শিরোনাম ছিল, “Colour and Striae in Mica”। এই চিঠিতে লেখকদের ঠিকানা ছিল ২১০ বৌবাজার স্ট্রিট; এ ছিল ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দি কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স-এর সেই সময়ের ঠিকানা। রামন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনেও কাজ করতেন। এখন অবশ্য কালটিভেশন চলে গেছে যাদবপুরে, বৌবাজার স্ট্রিটের সেই ঠিকানায় এখন গোয়েঙ্কা কলেজ অবস্থিত।
নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী লর্ড র্যালের মতো বিশেষজ্ঞ চিঠিটির প্রশংসা করেছিলেন, চিঠির নিচে তাঁর দীর্ঘ মন্তব্য ছাপা হয়েছিল। র্যালে কিছু পরামর্শও দিয়েছিলেন, সেইগুলি মাথায় রেখে আরো বিস্তৃতভাবে কাজ করে ফণীন্দ্রনাথ পরের বছর প্রসিডিংস অফ দি রয়্যাল সোসাইটিতে একটি গবেষণাপত্র ছাপিয়েছিলেন। এবারের কাজ কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের পালিত ল্যাবরেটরিতেই একাই করেছিলেন, লেখকের ঠিকানাতে লেখা ছিল বিজ্ঞান কলেজ। সেই বছরই ফিজিক্যাল রিভিউ পত্রিকাতে আরো একটি গবেষণাপত্র ছাপান পি এন ঘোষ। এই তিনটি ও ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর কাল্টিভেশন অফ সায়েন্সের প্রসিডিংসে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রের উপর ভিত্তি করে তিনি “The colours of the striae in mica and other optical investigations” থিসিস জমা দেন ও ১৯২০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর অফ ফিলোজফি ডিগ্রি পান। থিসিসের পরীক্ষক ছিলেন প্রেসিডেন্সি কলেজের গণিতের অধ্যাপক দেবেন্দ্রনাথ মল্লিক, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক ও উদ্ভিদবিদ্যার অধ্যাপক ইয়োহানেস ব্রুল ও ভারতবর্ষের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রগুলির সর্বোচ্চ অধিকর্তা এবং রয়্যাল সোসাইটির ফেলো গিলবার্ট ওয়াকার। ব্রুল ছিলেন জার্মান, উদ্ভিদবিদ্যার অধ্যাপক হলেও তাঁর পড়াশোনা ছিল ভৌত বিজ্ঞানে।
ইতিমধ্যে আশুতোষ বিশ্ববিদ্যালয়ে আরো নতুন নতুন বিষয়ে গবেষণা শুরুর চেষ্টা করছিলেন। তাঁর আগ্রহে ১৯১৯ সালে রাসবিহারী ঘোষ আবার এগারো লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন, সেই টাকাতে ব্যবহারিক পদার্থবিদ্যা ও রসায়নের (Applied Physics ও Applied Chemistry) দুটি অধ্যাপক পদ সৃষ্টি করা হয়। ডক্টরেট করার পরেই ফণীন্দ্রনাথ ঘোষকে পদার্থবিদ্যাতে পাঁচশো টাকা বেতন ও একশো টাকা গৃহভাতাতে ব্যবহারিক পদার্থবিদ্যার ঘোষ অধ্যাপক পদে নিয়োগ করা হয়। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ইংল্যান্ড ও আমেরিকাতে কাজ করার জন্য দু’বছরের ছুটির জন্য আবেদন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে পূর্ণ বেতনে ছুটি অনুমোদন করে, একই সঙ্গে তাঁর বিদেশে খরচের জন্য তিন হাজার টাকা মঞ্জুর হয়। পরের বছর পি এন ঘোষ লন্ডন থেকে যন্ত্র কেনার জন্য একশো পাউন্ডের জন্য আবেদন করেন, ঘোষ তহবিলের ম্যানেজমেন্ট বোর্ড সেই অর্থও মঞ্জুর করে, শর্ত ছিল যন্ত্রটি হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি। জার্মানিতে সিমেন্স কোম্পানিতেও তিনি কিছুদিন কাটান। তিনি কলকাতাতে ফিরে আসেন ১৯২২ সালের নভেম্বর মাসে। অল্পদিন জার্মানিতে কাটালেও তিনি জার্মান ভাষাটা ভালোই রপ্ত করছিলেন।
১৯২৫ সালে থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবহারিক পদার্থবিদ্যা আলাদা বিষয় হিসাবে পড়ানো শুরু হয়, তবে আলাদা বিভাগ হিসাবে তা রূপ নেয় ১৯৩০ সালে। কিন্তু বাস্তবে ফণীন্দ্রনাথ আলাদা বিভাগেই কাজ করছিলেন, ১৯২৪ সাল থেকেই দেখি সেনেট বা সিন্ডিকেটের কার্যবিবরণীতে ব্যবহারিক পদার্থবিদ্যা বিভাগের উল্লেখ পাওয়া যাচ্ছে। প্রথম বছর ব্যবহারিক পদার্থবিদ্যাতে ছাত্রের সংখ্যা ছিল মাত্র তিন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর প্রচেষ্টার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিল। তাই বিভাগের ল্যাবরেটরি তৈরির জন্য এককালীন বাহান্ন হাজার টাকা ও বাৎসরিক কুড়িহাজার টাকা মঞ্জুর হয়। ১৯২৮ সালে ফণীন্দ্রনাথ যে বর্ণালীবীক্ষন ল্যাবরেটরি তৈরি করেন, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার বাইরে দীর্ঘদিন সেটিই ছিল এই বিষয়ে গবেষণার শ্রেষ্ঠ কেন্দ্র। ১৯৩৭ সালে যোগাযোগ বিষয়ক পরীক্ষাগারের জন্য আরো পঁচিশ হাজার টাকা মঞ্জুর হয়।
মনে রাখতে হবে শুধু টাকাতেই হয় না, ফণীন্দ্রনাথকে নিজের হাতে করে ল্যাবরেটরি তৈরি করতে হয়েছিল। দীর্ঘদিন বিভাগে তাঁকে নিয়ে শিক্ষকের সংখ্যা ছিল মাত্র দুই। তাই হয়তো এই পর্বে তাঁর গবেষণাপত্রের সংখ্যা খুব বেশি নয়। একটি ছোট ঘর ও দুটি ডিসি মোটর দিয়ে শুরু করে তিনি যে ল্যাবরেটরি তৈরি করেছিলেন, ইউরোপ আমেরিকার বাইরে তার তুলনা সেই যুগে বিশেষ ছিল না। সেই জন্যই তাঁকে বলা হত Best Measuring Man of the East। তাঁকে সহায়তা করেছিলেন বিভাগের অপর শিক্ষক পূর্ণচন্দ্র মহান্তি, যিনি ফণীন্দ্রনাথের পরে বিভাগের প্রধান হয়েছিলেন। বর্ণালীবীক্ষণ, তড়িৎপ্রবাহ ইত্যাদি বিষয়ে ফণীন্রনাথ কাজ করতেন এবং নানা যন্ত্র বানিয়েছিলেন। সারা জীবনে নানা সম্মান পেয়েছেন ফণীন্দ্রন্তাহ। ১৯৪১ সালে বেনারসে অনুষ্টিত বিজ্ঞান কংগ্রেসে তিনি পদার্থবিদ্যা বিভাগের সভাপতি হয়েছিলেন। তিনি হয়েছিলেন ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর কাল্টিভেশন অফ সায়েন্সের ফেলো, এগারো বছর তিনি এই সংস্থার প্রকাশিত গবেষণা পত্রিকা ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ ফিজিক্স-এর সম্পাদকমণ্ডলীর কর্মসচিব ছিলেন। তিনি ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যাকাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ফেলো।
ফণীন্দ্রনাথ ইন্ডাস্ট্রিয়াল সার্ভে কমিটি অফ বেঙ্গল-এর সভাপতি ও বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ বোর্ডের সহ-সভাপতি হিসাবে কাজ করেছিলেন। চেম্বার অফ ইন্ডাস্ট্রিজের জন্য তিনি শিল্প পরিস্থিতি ও ভবিষতের পথের রূপরেখা বিষয়ে একটি বিস্তৃত রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন। ১৯৩৮ সালে সুভাষচন্দ্র কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পরে মেঘনাদ সাহার উদ্যোগে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস ন্যাশনাল প্ল্যানিং কমিটি তৈরি করেছিল; পি এন ঘোষ তার বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি সংক্রান্ত উপসমিতির সভাপতি হয়েছিলেন। ১৯৪৬ সালের ২৩ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। তঁর মৃত্যুর অব্যবহিত পরে তাঁর প্রিয় ব্যবহারিক পদার্থবিদ্যা বিভাগে তাঁর ছাত্ররা তাঁর এক আবক্ষমূর্তি স্থাপন করেছে। তিনি যে বিভাগের সূচনা করেছিলেন, তখন তা বিজ্ঞানের মধ্যে গণ্য হলেও বর্তমানে সেখানে বি টেক ও এম টেক পড়ানো হয়, গবেষণাও হয় প্রযুক্তি বিষয়ে। আজ যে শিল্প ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গাঁটছড়ার উপরে জোর দেওয়া হয়, আমাদের দেশে পদার্থবিদ্যার ক্ষেত্রে সেই কাজটি প্রথম যাঁরা করেছিলেন, ফণীন্দ্রনাথ তাঁদের মধ্যে অন্যতম।
তথ্যসূত্রঃ
Phanindra Nath Ghosh, A. K. Sengupta, Biographical Memoirs of the Members of the Indian National Science Academy
The Dazzling Dawn: Physics Department of Calcutta University (1916-1936), Gautam Gangopadhyay, Anirban Kundu and Rajinder Singh, Shaker Verlag
সোনাঝরা দিনগুলি, গোতম গঙ্গোপাধ্যায় ও অনির্বাণ কুণ্ডু, জয়ঢাক
Minutes of the Senate and Syndicate of the University of Calcutta for various years
Prof P N Ghosh – A Memoir of the Best Measuring Man of the East, Kaushik Das Sharma, Hindred Tears of the Department of Applied Physics, University of Calcutta (1925-2024), University of Calcutta
No comments:
Post a Comment