উল্কার আলো
গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়
রাতের আকাশে উল্কা আমরা অনেকেই হয়তো দেখেছি, এই লেখাতে আমরা সেই উল্কার সম্পর্কে কিছু কথা শুনব। প্রবন্ধের শিরোনামটি শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি গল্প থেকে ধার করা; গল্পে এক উল্কার আলো প্রেমিকাকে চিনতে সাহায্য করেছিল। আমাদের কাহিনির উল্কারা অবশ্য অত রোমান্টিক নয়, তবে তারা আমাদের সৌরজগতের উপর তারা আলো ফেলেছে।
মহাকাশ থেকে ছোট বড় পাথরের টুকরো প্রায় সময়েই আমাদের পৃথিবীকে ধাক্কা মারে। সে যখন তীব্র বেগে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢোকে, ঘর্ষণের ফলে তা উত্তপ্ত হয়ে আলো দেয়। আমরা চলতি কথায় বলি তারা খসা। এই সব পাথরের অনেকেই মাটিতে এসে পৌঁছায় না, তা আগেই ভস্মীভূত হয়ে যায়। আমাদের লেখাতে আমরা সেই উল্কাদের গল্পই বলব যাদের সন্ধান আমরা পৃথিবীতে পেয়েছি, এদেরকে বলে উল্কাপিণ্ড। তাদের বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়েছে।
প্রাচীনকালে সমস্ত সভ্যতাই উল্কাকে শুভ বা অশুভ বিবেচনা করত। যেমন, ভারতীয় পুরাণে উল্কাপাতকে অশুভ লক্ষণ মনে করা হত। আমরা রাহু ও কেতুর পৌরাণিক গল্পের কথা জানি। সাধারণভাবে কেতু অর্থে প্রাচীন ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানে ধূমকেতু বোঝালেও অথর্ববেদে সম্ভবত কেতু অর্থে উল্কাকেও বোঝাত। উল্কাপাতের ঘটনা অনেক সময়ে পুরানো বইপত্র বা দলিলদস্তাবেজে লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল। তার মধ্যে সব থেকে প্রাচীন ঘটনাটি প্রায় চারহাজার বছরের পুরানো। প্রাচীন ফ্রিজিয়া, অর্থাৎ বর্তমান তুর্কিতে একটি উল্কাপিণ্ড পড়েছিল, সেটিকে দেবতা বলে পূজা করা হত। খ্রিস্ট পূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীতে সেটি রোমে নিয়ে যাওয়া হয়, এবং অন্তত পাঁচশো বছর সেখানেও তার পূজা চলেছিল। এই ফ্রিজিয়াতেই আজ থেকে ৭৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে যুদ্ধোদ্যত দুই সৈন্যদলের মধ্যে একটি উল্কা এসে পড়ে। তাকে স্বর্গ থেকে পাঠানো ইঙ্গিত মনে করে দুই সৈন্যদলই পিছিয়ে যায়, ফলে সেবারের মতো যুদ্ধ হয়নি।
তবে উল্কাপিণ্ডের খবর নিঃসন্দেহে আরও প্রাচীন। মিশরের সমাধিতে এক গলার হার পাওয়া গেছে যার পুঁথির লোহাটা এসেছিল উল্কা থেকে। পৃথিবী ও উল্কার লোহার মধ্যে খনিজের গঠন আলাদা, তাই তাদের সহজেই পৃথকভাবে চেনা যায়। মনে করা হয় উল্কা থেকে যে লোহা পাওয়া গিয়েছিল, তাই সম্ভবত বিভিন্ন সভ্যতাতে প্রথম লোহার ব্যবহারে লেগেছিল, কারণ পৃথিবীর লৌহ আকরিক থেকে লোহা নিষ্কাশন করা অপেক্ষাকৃত শক্ত।
ফ্রিজিয়ার প্রাচীন উল্কাপিণ্ডটির সন্ধান এখন আর পাওয়া যায় না। উল্কাপাতের ঘটনা লিপিবদ্ধ আছে, এবং সেই উল্কাটাকে আজও আমরা দেখতে পাই, এমন সব থেকে প্রাচীন উদাহরণ আছে জাপানে। সে দেশের নোগাতা শহরের কাছে ৮৬১ সালের ১৯ মে একটি উল্কা এসে পড়ে, যেটি স্থানীয় এক মন্দিরে আজও রাখা আছে। মেপে দেখা গেছে তার ওজন হল ৪৭২ গ্রাম। ইউরোপে এই রেকর্ড ধরে ফ্রান্সের এক উল্কা, যেটা ১৪৮২ সালের ৭ নভেম্বর মাটিতে পড়েছিল। সম্রাট ম্যাক্সিমিলিয়ানের আদেশে সেটি একটি গির্জাতে সংরক্ষিত হয়। সেটির ওজন ১২৭ কিলোগ্রাম। আমাদের দেশ থেকেও দেড়শোর বেশি উল্কা সংগৃহীত হয়েছে, অবশ্য সেগুলি কোনটিই এয় প্রাচীন নয়। বিশেষ করে বেনারস ও রাজস্থানের টঙ্কে পড়া উল্কার কথা আমাদের কাহিনিতে আসবে। সাধারণভাবে যেখানে পাওয়া যায়, উল্কাপিণ্ডের নাম সেই অনুসারেই হয়।
উল্কা কোথা থেকে আসে তা নিয়ে প্রথম থেকেই পণ্ডিতদের মধ্যে তর্ক চলেছিল। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকে গ্রিক দার্শনিক ডায়োজিনেস মনে করতেন নক্ষত্রদের থেকে উল্কার জন্ম। একই সময়ে অ্যারিস্টটল বলেছিলেন যে উল্কার উৎস বায়ুমণ্ডল। অ্যারিস্টটল বিশ্বাস করতেন মহাকাশ বা স্বর্গ হল অপরিবর্তনীয়, তাই সেখানে উল্কার জন্ম হতে পারে না। এই তর্ক মধ্যযুগ পর্যন্ত চলে, তার পরে এক অদ্ভুত পথ নেয়। ইউরোপের পণ্ডিতরা প্রায় সবাই মিলে সিদ্ধান্ত করেন উল্কাপাত বলে কিছু হয় না; যাঁরা দাবি করেন যে উল্কা দেখেছেন তাঁরা আসলে দৃষ্টিবিভ্রমের শিকার। এমনকি আধুনিক রসায়নশাস্ত্রে স্রষ্টা আন্তন ল্যাভশিয়েরও এই মতের শরিক ছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি টমাস জেফারসনকে যখন বলা হয় যে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপক একটি উল্কাপাতের ঘটনা দেখেছেন ও উল্কাটিকে খুঁজে পেয়েছেন, তিনি নাকি মন্তব্য করেছিলেন যে আকাশ থেকে পাথর পড়া অসম্ভব, কাজেই ওই দুই অধ্যাপক আসলে মিথ্যাবাদী। ফরাসি বিজ্ঞান আকাদেমি ঘোষণা করে উল্কাপাতের ঘটনা ঘটতেই পারে না; তখন ইউরোপের অনেক মিউজিয়াম তাদের সংগৃহীত উল্কাপিণ্ডগুলি ফেলে দেয়।
![]() |
শিল্পীর চোখে ১৮০৩ সালের উল্কাবৃষ্টি |
কিন্তু দশ বছরের মধ্যেই তাঁদের ক্লাডনির কথা মানতে হল। ১৮০৩ সালের ২৬ এপ্রিল ফ্রান্সের এক শহরে অনেকক্ষণ ধরে টানা উল্কাপাত হয়েছিল। এই ধরনের ঘটনাকে বলে উল্কাবৃষ্টি। একটা শহরের সবাই দৃষ্টিবিভ্রমের শিকার হয়েছে, এমন হতে পারে নাকি? তাই ফরাসি আকাদেমি জাঁ-ব্যাপটিস্ট বায়োটকে বিষয়টি দেখার জন্য পাঠান। বায়োট প্রায় তিন হাজার উল্কাপিণ্ড খুঁজে পান। এরপর আর আকাশ থেকে পাথর পড়তে পারে না, তা বলার সুযোগ রইল না।
অবশ্য সেই পাথরের উৎপত্তি কোথায় তা নিয়ে এখনো সকলে একমত হলেন না। রসায়নবিদ ও আবহবিজ্ঞানীরা বললেন এর উৎস বায়ুমণ্ডল, অন্যদিকে জ্যোতির্বিদ ও ভূতত্ত্ববিদরা মনে করলেন মহাকাশ থেকেই তারা এসেছে। ক্লাডনিও কিছু ভুল করেছিলেন, তাঁর মনে হয়েছিল কিছু উল্কা নিচ থেকে উপর দিকে যাচ্ছে, স্বাভাবিকভাবেই ধারণা করা হল যে অন্তর কিছু উল্কার উৎস পৃথিবী। শেষে ১৮৩৯ সালে ফ্রিয়েডরিশ বেসেল দেখান যে সেই মাপে ভুল ছিল।
তার আগেই অবশ্য অন্য এক পর্যবেক্ষণ থেকে অনুমান করা হয়েছিল যে উল্কার উৎস মহাকাশ। ১৮৩৩ সালে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে এক উল্কাবৃষ্টি চলেছিল। দেখা গিয়েছিল সেই উল্কাগুলো যেন আকাশে যেখানে সিংহ রাশি অবস্থান করে সেই দিক থেকে আসছে। সময় যত যায়, পৃথিবীর ঘূর্ণনের জন্য আকাশের রাশিও জায়গা পরিবর্তন করে। দেখা গেল উল্কাবৃষ্টির উৎসও সিংহ রাশির সঙ্গে সঙ্গে সরে যাচ্ছে। এ তখনই হতে পারে যখন উল্কারা মহাকাশের কোন নির্দিষ্ট স্থান থেকে আসে। সেই উল্কাবৃষ্টির বর্ণনা শুনে এক চিত্রকর এক ছবি এঁকেছিলেন, সেটি এখানে দেখানো হল। এরপর জিওভান্নি শিপারেল্লি দেখান যে আকাশের ওই অবস্থান এক ধূমকেতুর পথের সঙ্গে মিলে যায়। অর্থাৎ ওই ধূমকেতু যাওয়ার সময় নানা কারণে তার কিছু টুকরো রাস্তায় ছেড়ে যায়। তারা যখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে সংস্পর্শে আসে, তখন উল্কাবৃষ্টির সৃষ্টি হয়।
![]() |
বেনারসের একটা টুকরো |
এখন আমরা জানি অধিকাংশ উল্কার জন্ম হল গ্রহাণুপুঞ্জে, সেখানে গ্রহাণুদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ফলে ছোট ছোট টুকরো ভেঙে যায়, সেগুলি কখনো কখনো পৃথিবীর দিকে আসে। উল্কাবৃষ্টির জন্য অবশ্য দায়ী ধূমকেতু, সারা বছরের নানা সময়ে উল্কাবৃষ্টি হয়। ধূমকেতু থেকে যে উল্কাদের জন্ম তারা সাধারণত খুব ছোট।
উল্কাপিণ্ড নিয়ে আধুনিক নিউক্লিয় জ্যোতির্বিজ্ঞান খুব আগ্রহী, তার কারণ কি? এক বিশেষ ধরনের উল্কা আছে, যাদের নাম কার্বনেসিয়াস ইভুনা (সি আই) কন্ড্রাইট (অর্থাৎ কার্বন আছে, আফ্রিকার তানজানিয়ার ইভুনা নামের এক জায়গায় একটা পাওয়া গিয়েছিল, এবং কনড্রাইট অর্থ তার ভিতরে গোলাকার দানা আছে, গ্রিক কন্ড্রুল মানে গোলক; তবে এই বিশেষ উল্কাগুলিতে গোলক পাওয়া যায় না।), যারা আমাদের সৌরজগতে কোন মৌল কত রকম আছে তা বলে দেয়। আমাদের পৃথিবীতে বসে এটা বিচার করা কঠিন, কারণ পৃথিবীর মোট ভরের অধিকাংশটাই আছে অভ্যন্তরে, যা আমাদের আয়ত্তের বাইরে। আমরা শুধু ভূত্বকের নাগাল পাই যার মোট ভর পৃথিবীর ভরের আড়াইশো ভাগের এক ভাগ।
এখনো পর্যন্ত মোট ছ'টা সি আই কন্ড্রাইটের সন্ধান পাওয়া গেছে, যার একটির উৎস রাজস্থানের টঙ্ক শহর। ১৯১১ সালের ২২ জানুয়ারি টঙ্কের আকাশে এক বিস্ফোরণ ঘটে ও অনেক উল্কার টুকরো ছড়িয়ে পড়ে, তার একটাই উদ্ধার হয় যার ভর মাত্র ৭ গ্রাম ৭০০ মিলিগ্রাম। সব থেকে ভারি সি আই কন্ড্রাইটের ভর হল ১৪ কিলোগ্রাম, আর সব থেকে হালকার হল ১ গ্রাম। গত বছর পর্যন্ত আমরা পাঁচটা এমন উল্কার খবর রাখতাম, ২০২৪ সালে মরক্কোতে ছ' নম্বরটি পড়ে। এগুলির গুরুত্ব এত বেশি যে সারা পৃথিবীতে বহু বিজ্ঞানী বারবার এদের বিশ্লেষণ করে মৌলিক পদার্থের পরিমাণ নির্ণয় করেন।
কোন খবর এই উল্কারা আমাদের দেয়? আমাদের চারদিকে তাকিয়ে দেখলে বুঝব যে সব থেকে বেশি আছে অক্সিজেন, সিলিকন, লোহা ইত্যাদি মৌল। কিন্তু তাদের অনুপাতটা কি? ভূত্বকে সব থেকে বেশি যে মৌলগুলি আছে সেগুলি হল অক্সিজেন (৪৬.৬%), সিলিকন (২৭.৭%), অ্যালুমিনিয়াম (৮.১%), লোহা (৫.০%), ক্যালসিয়াম (৩.৬%), সোডিয়াম (২.৮%), পটাশিয়াম (২.৬%), ও ম্যাগনেসিয়াম (২.১%)। অথচ উল্কা থেকে খবর পাওয়া যায় যে পৃথিবীর মোট মৌলের পরিমাণ হল এইরকম, লোহা (৩২.১%), অক্সিজেন (৩০.১%), সিলিকন (১৫.১%), ম্যাগনেশিয়াম (১৩.৯%), গন্ধক (২.৯%), নিকেল (১,৮%), ক্যালসিয়াম (১,৫%) এবং অ্যালুমিনিয়াম (১,৪%)। অপেক্ষাকৃত ভারি বলে অধিকাংশ লোহাই পৃথিবীর কেন্দ্রে চলে গেছে, সেই লোহাই পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের উৎস।
প্রশ্ন আসে উল্কার খবরটাই যে ঠিক তা কেমন করে জানা গেল? তার কারণ উল্কার হিসাবটা আবার সূর্যের হিসাবের সঙ্গে মিলে যায়। সূর্যের আলোর বর্ণালী বিশ্লেষণ করে সূর্যে কোন কোন মৌল আছে বলা যায়। কেমন করে সেই পরিমাণটা বার করা যায় তার অঙ্কটা আবিষ্কার করেছিলেন আমাদের দেশের বিখ্যাত বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা, যদিও পরিমাণগুলো বার করেছিলেন সিসিলিয়া পেইন নামের এক ইঙ্গ-আমেরিকান বিজ্ঞানী। দেখা গেল কয়েকটা মৌল বাদ দিলে বাকিদের মধ্যে দুই হিসাবেই আশ্চর্য মিল আছে। মিল নেই কোনগুলোতে? হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, নাইট্রোজেন, আর্গন -- এ ধরনের উদ্বায়ী পদার্থ উল্কা থেকেও প্রায় উবে গেছে, পৃথিবী থেকেও তাই। সূর্যের মোট ভরের কিন্তু ৯৮ শতাংশই হল হাইড্রোজেন আর হিলিয়াম। নিউক্লিয় জ্যোতির্বিদ্যা এই সমস্ত মৌল কেমন করে এই পরিমাণেই তৈরি হল, তা নিয়ে গবেষণা করে।
গল্প শেষ করার আগে আরো কিছু কথা বলি। উল্কাপিণ্ড বিশ্লেষণ করে অনেক যৌগ পাওয়া গেছে যেগুলি সম্ভবত প্রাণ সৃষ্টিতে সাহায্য করে। ২০১৫ সালে নাসা জানায় যে এই সমস্ত যৌগ দিয়ে মহাকাশের মতো পরিবেশে পরীক্ষাতে ডিএনএ ও আরএনএ-র নিউক্লিওবেস তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ প্রাণ সৃষ্টির পক্ষে মহাবিশ্ব খুবই অনুকূল। পৃথিবীর বাইরে প্রাণ খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা এর ফলে বেড়ে গেল। কেউ কেউ তো এমন কথাও বলেন যে মহাবিশ্বে প্রাণ সৃষ্টি হয় মহাকাশে, তারপর উল্কার মাধ্যমে পৃথিবীতে তার আগমন ঘটেছিল। এ কথা ঠিক না ভুল তা বলার উপায় নেই। এছাড়া কিছু উল্কার মধ্যে এমন সমস্ত ছোট ছোট দানা পাওয়া গেছে, যারা কোনোভাবেই আমাদের সৌরজগতে সৃষ্টি হতে পারে না, অথচ দূরের নক্ষত্রে তাদের সন্ধান মিলেছে। সেই সব দানাকে বলে নক্ষত্রধূলি (stardust)। আমাদের সূর্য পৃথিবী সহ সৌরজগৎ সৃষ্টি হয়েছিল এক বিশাল মহাজাগতিক মেঘ থেকে। সেই মেঘেই এই সমস্ত নক্ষত্রধূলি ছিল, অর্থাৎ নক্ষত্রের মৃত্যুর পরে তাদের দেহাবশেষ মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ে, সেই আদি মহাজাগতিক মেঘে তাদের দেহের কিছু অংশ ধরা পড়েছিল। আমাদের দেহের প্রতিটি পরমাণুরই এইভাবে সৃষ্টি, আমাদের দেহ মৃত নক্ষত্রদের ছাই দিয়ে তৈরি।
প্রকাশঃ সন্ধিৎসা, এপ্রিল, ২০২৫