Monday 13 November 2023

শতবর্ষে অধ্যাপক সমরেন্দ্রনাথ ঘোষাল

 

শতবর্ষে অধ্যাপক সমরেন্দ্রনাথ ঘোষাল

গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়


সারা পৃথিবীতে স্নাতকস্তরের পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রী মাত্রেই একটি বিশেষ পরীক্ষার কথা জানতেই হয়, তার নাম ঘোষালের পরীক্ষা। যাঁর নামে এই পরীক্ষা সেই অধ্যাপক সমরেন্দ্রনাথ ঘোষালের এই বছর আমরা জন্মশতবার্ষিকী পালন করছি। এই লেখাতে আমরা অধ্যাপক ঘোষালের জীবন ও কৃতিত্ব সম্পর্কে খুব সংক্ষেপে আলোচনা করব।

সমরেন্দ্রনাথ ঘোষালের জন্ম বোলপুরের কাছে রায়পুর গ্রামে ১৯২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি। বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুল থেকে তিনি ১৯৩৮ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন। ওই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বাংলা ও সংস্কৃতে সর্বোচ্চ নাম্বার পাওয়ার জন্য তিনি দুটি রৌপ্যপদক পেয়েছিলেন। দু'বছর পরে তিনি ইন্টারমিডিয়েট স্তরে বিজ্ঞান নিয়ে বর্ধমান রাজ কলেজ থেকে পাস করেন। এরপরে তিনি কলকাতাতে এসে স্কটিশ চার্চ কলেজে পদার্থবিদ্যা নিয়ে ভর্তি হন। দু'বছর পরে তিনি বিএসসি পাস করেন, পদার্থবিজ্ঞানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে দ্বিতীয় হওয়ার জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোহিনীমোহন রায় রৌপ্য পদক পেয়েছিলেন। এরপর এমএসসি পড়ার জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান কলেজে ভর্তি হন ও সেখান থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে উত্তীর্ণ হন।



অধ্যাপক মেঘনাদ সাহা তখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যা বিভাগে পড়াচ্ছেন। তিনি নিউক্লিয় পদার্থবিদ্যা ও জীবপদার্থবিদ্যা বিষয়ে আধুনিক গবেষণার জন্য বিভাগের অভ্যন্তরেই ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স তৈরি করেছিলেন। তাঁর কনিষ্ঠ সহকর্মী নীরজনাথ দাশগুপুকে তিনি জীবপদার্থবিদ্যা বিষয়ে গবেষণার জন্যভারতের প্রথম ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ তৈরির দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সমরেন্দ্রনাথ মেঘনাদের কাছে গবেষণার জন্য গিয়েছিলেন, মেঘনাদ তাঁকে নীরজনাথের কাছে গবেষণার জন্য একটি বৃত্তির ব্যবস্থা করেন। ১৯৪৫ সালের ১ মার্চ সমরেন্দ্রনাথ গবেষণাতে যোগ দেন। তবে সেখানে তিনি বেশিদিন ছিলেন না। সেই বছরই নভেম্বর মাস নাগাদ একটি সরকারি বৃত্তি নিয়ে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলেতে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্য গিয়েছিলেন।

বার্কলের রেডিয়েশন ল্যাবরেটরি তখন পৃথিবীবিখ্যাত। সেখানে আর্নেস্ট লরেন্স প্রথম সাইক্লোট্রন কণাত্বরক তৈরি করেছিলেন,। সে জন্য তিনি ১৯৩৯ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। মেহঘনাদ নিউক্লিয় পদার্থবিদ্যাতে গবেষণার জন্য কলকাতাতে এশিয়ার প্রথম সাইক্লোট্রন তৈরি করবেন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, লরেন্স তাঁকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করেন। মেঘনাদের ছাত্র বাসন্তীদুলাল নাগচৌধুরি তার কয়েকবছর আগে লরেন্সের কাছে ডক্টরেট করেন ও সাইক্লোট্রনের যন্ত্রাংশ কিনে কলকাতাতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। সেই কারণে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও বার্কলের রেডিয়েশন ল্যাবরেটরিরি মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। সেই কারণেই সম্ভবত সমরেন্দ্রনাথ গবেষণার জন্য বার্কলেকেই বেছে নিয়েছিলেন। সেখানে এমিলিও সেগ্রের অধীনে তিনি গবেষণা শুরু করেন। বার্কলেতে থাকার সময়ে তিনি দুটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছিলেন, দুটিই ফিজিক্যাল রিভিউ গবেষণা পত্রিকাতে একক ভাবেই তিনি লিখেছিলেন। প্রবন্ধ দু'টির শেষে তিনি সেগ্রেকে উৎসাহ ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। এর মধ্যে দ্বিতীয়টিতে তাঁর সেই বিখ্যাত গবেষণাটির কথা তিনি প্রকাশ করেছিলেন।

সেগ্রে পৃথিবীবিখ্যাত বিজ্ঞানী এনরিকো ফের্মির ছাত্র, তিনি ১৯৫৫ সালে বার্কলের নতুন সাইক্লোট্রনের সাহায্যে অ্যান্টিপ্রোটন আবিষ্কারে এক মুখ্য ভূমিকা নেন, এর জন্য ১৯৫৯ সালে তিনি ও আওয়েন চেম্বারলেন পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান। সেগ্রে ছিলেন ইহুদি, হিটলারের প্ররোচনাতে ইতালির ফ্যাসিস্ট সরকার যখন ইহুদিদের উপর নিপীড়নমূলক আইন চালু করেছিল, তখন তিনি ঘটনাচক্রে বার্কলেতেই ছিলেন। তাঁর স্ত্রী ও সন্তান আমেরিকাতে তাঁর সগে যোগ দেন। সেগ্রের বাবা আত্মগোপন করতে পারলেও তাঁর মা ফ্যাসিস্টদের হাতে নিহত হন।

সমরেন্দ্রনাথ বার্কলেতে যে বিষয়ে গবেষণা করেছিলেন, তার সঙ্গে ফের্মি ও সেগ্রের কাজের ঘনিষ্ট যোগাযোগ আছে। ফের্মি নিউট্রন ব্যবহার করে নিউক্লিয় বিক্রিয়া বিষয়ে গবেষণার জন্য ১৯৩৮ সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন, সেই কাজে সেগ্রে তাঁর সহযোগী ছিলেন। সেই গবেষণাকে তাত্ত্বিকভাবে ব্যাখযা করার জন্য বিখ্যাত বিজ্ঞানী নিল্‌স বোর কম্পাউন্ড যৌগ নিউক্লিয়াসের মডেলের কথা বলেছিলেন। সমরেন্দ্রনাথের গবেষণা বোরেরে সেই মডেলের পক্ষে পরীক্ষামূলক প্রমাণ দেয়। আজও আমরা নিউক্লিয় বিজ্ঞানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বোরের সেই মদেল ব্যবহার করি। সংক্ষেপে আমরা সেই মডেল সম্পর্কে জেনে নেব।

নিউক্লিয় বিক্রিয়াতে দুটি নিউক্লিয়াসকে পরস্পরের সঙ্গে মিলিয়ে একটি কম্পাউন্ড নিউক্লিয়াস তৈরি করা হয়। একই সঙ্গে বেশ কিছুটা অতিরিক্ত শক্তি সঞ্চারিত হয়। বোর বলেছিলেন যে এই কম্পাউণ্ড নিউক্লিয়াসটি এতক্ষণ স্থায়ী হয় যে তার ভিতরের কণাগুলির মধ্যে সমস্ত অতিরিক্ত শক্তিটা পরিসংখ্যানগত বলবিদ্যার নিয়ম মেনে ভাগ হয়ে যায়। অবশ্য এই কম্পাউন্ড নিউক্লিয়াস চিরস্থায়ী নয়, কারণ এর শক্তি সাধারণ অবস্থা থেকে বেশি। তাই প্রোটন, নিউট্রন, আলফা কণা ইত্যাদি ত্যাগ করে এই নিউক্লিয়াস শক্তি কমায়। (আলফা কণা হল হিলিয়ামের নিউক্লিয়াস, এর মধ্যে আছে দুটি প্রোটন ও দুটি নিউট্রন।) বোর বলেছিলেন যে কণাদের মধ্যে শক্তিটা যেহেতু পরিসংখ্যানগত বলবিদ্যার অনুসারে ভাগ হয়ে যায়, সেই জন্য এই কম্পাউন্ড নিউক্লিয়াস থেকে প্রোটন নিউট্রন ইত্যাদি বেরোনোর সম্ভাবনা নিউক্লিয়াসটা কিভাবে তৈরি হয়েছে তার উপর নির্ভর করে না। চলতি কথায় আমরা বলি যে কম্পাউন্ড নিউক্লিয়াস হল এমন এক সিস্টেম বা তন্ত্র যে তার জন্মের স্মৃতি মনে রাখতে পারে না।

বোরের মডেল যে ঠিক, তা প্রমাণ হবে কেমন করে? বার্কলের ষাট ইঞ্চি ব্যাসের সাইক্লোট্রন ও রৈখিক ত্বরক দুটিই ব্যবহার করে ঘোষাল দুটি ভিন্ন পদ্ধতিতে দস্তা মৌলের একই কম্পাউন্ড নিউক্লিয়াস তৈরি করলেন। ( হল X মৌলের নিউক্লিয়াস যাতে Z সংখ্যক প্রোটন ও (A-Z) সংখ্যক নিউট্রন আছে। ) নিকেলের নিউক্লিয়াস , ও সাইক্লোট্রন থেকে পাওয়া আলফা কণার বিক্রিয়াতে কম্পাউন্ড নিউক্লিয়াস তৈরি করলেন। আবার একই নিউক্লিয়াস তৈরি করলেন রৈখিক ত্বরক থেকে পাওয়া প্রোটন ও তামার নিউক্লিয়াস -র বিক্রিয়াতে।

এই কম্পাউন্ড নিউক্লিয়াসের শক্তি সাধারণ অবস্থার নিউক্লিয়াসের থেকে বেশি। পরীক্ষাতে অনেক সংখ্যক নিউক্লিয়াস তৈরি হয়, তাদের মধ্যে কয়েকটি হয়তো একটি নিউট্রন ত্যাগ করে; কয়েকটি দুটো নিউট্রন, কয়েকটি আবার একটি নিউট্রন ও একটি প্রোটন ত্যাগ করে। বোরের মডেল যদি ঠিক হয়, তাহলে এই বিভিন্ন ভাবে পথের সংখ্যক্সার অনুম্পাত দুই বিভিন্ন পরীক্ষাতে একই হবে, কারণ একবার কম্পাউন্ড নিউক্লিয়াস তৈরি হয়ে গেলে সে কোন পদ্ধতিতে তৈরি হয়েছে তা আর আদৌ গুরুত্বপূর্ণ নয়। ঘোষাল দেখালেন সত্যিই তাই, দুটি বিভিন্ন পরীক্ষাতে অনুপাতের একই মান পাওয়া গেল। এর পর থেকে কম শক্তির বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে আনরা বোরের মডেল ব্যবহার করে আসছি। ১৯৫০ সালে ফিজিক্যাল রিভিউ পত্রিকাতে এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়।

এটি সমরেন্দ্রনাথের সব থেকে বিখ্যাত কাজ হলেও সমরেন্দ্রনাথ আরো বেশ কিছু গবেষণা করেছিলেন; তাদের কয়েকটির উল্লেখ করি। স্বল্পকাল ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্সে থাকলেও তিনি সেখানে পরমাণুর ভর সংক্রান্ত এক তাত্ত্বিক গবেষণাতে অংশ নিয়েছিলেন, ১৯৪৮ সালে তা প্রকাশিত হয়। এছাড়া প্রেসিডেন্সি কলেজে এক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার সূচনা তিনি করেছিলেন; ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে তিনি পরমাণুর ভর মাপার বর্ণালীবীক্ষণ যন্ত্র তিনি তৈরি করেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রেসিডেন্সি কলেজে গবেষণার সুযোগ কম ছিল, পড়ানোর চাপ ছিল অনেক বেশি। তার মধ্যেও তাঁর এই কাজ বিশেষ কৃতিত্বের দাবি রাখে।

১৯৫০ সালে যখন তাঁর বিখ্যাত গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে, ততদিনে ডক্টরেট সম্পূর্ণ করে সমরেন্দ্রনাথ কলকাতায় ফিরে এসেছেন। স্বল্পকাল ইনটিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্সে কাটিয়ে তিনি ১৯৫১ সালে লক্ষ্ণৌ বিশ্ববিদ্যালয়ে রিডার পদে যোগ দেন। মেঘনাদ সাহার আহ্বানে তিনি কলকাতায় ফিরে আসেন ও ১৯৫৪ স্লালের ২০ জুলাই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে তারিণীচরণ সুর রিডার পদে যোগ দেন। ততদিনে ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে, তবে অধ্যাপক ঘোষালকে ডেপুটেশনে ইনস্টিটিটিউটে কাজ করতে পাঠানো হয়। ১৯৫৬ সালে তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপক পদে যোগ দেন। সেখানেই ছিলেন ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত, মাঝে স্বল্প সময়ের জন্য তিনি কলেজের অধ্যক্ষপদের দায়িত্বও সামলেছিলেন। এর পর ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৯ পর্যন্ত তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগে ডায়রেক্টর অফ পাবলিক ইনস্ট্রাকশন পদে কাজ করেন। ১৯৭৯ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে খয়রা অধ্যাপক পদে যোগ দেন, সেখান থেকে অবসর নেন ১৯৮৮ সালে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রেসিডেন্সি কলেজ দুই প্রতিষ্ঠানেই তিনি বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব সামলেছিলেন। ২০০৭ সালের ৩০ জুলাই তিনি প্রয়াত হয়েছেন।

পড়ানোর বিষয়ে তাঁর সুনাম ছিল। ক্লাসে বিভিন্ন বিষয় পড়াতেন, জটিল গণিতের সময়েও বই বা কাগজ দেখার প্রয়োজন পড়ত না। অবসরের আগেও তিনি পাঠ্য বই লিখেছিলেন, পরেও সেই কাজ করেছিলেন। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে কোয়ান্টাম বলবিদ্যা, পারমাণবিক ও নিউক্লিয়া পদার্থবিদ্যা বিষয়ে বেশ কয়েকটি পাঠ্যবই তিনি লিখেছিলেন, সেগুলি এখনো খুবই জনপ্রিয়। পশ্চিমবং রাজ্য পুস্তক পর্ষদ থেকে প্রকাশিত হয়েছে বাংলায় লেখা তাঁর পাঠ্যবই, পরমাণূ ও কেন্দ্রক গঠন পরিচয়। বইটি এখন দু' খণ্ডে পাওয়া যায়। অধ্যাপক ঘোষাল ইন্ডিয়ান ফিজিক্যাল সোসাইটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁরই উদ্যোগে শুরু হয়েছিল ইয়ং ফিজিস্টস কলোকিয়াম, চল্লিশ বছর পেরিয়েও সাফল্যের সঙ্গে সেটি নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়ে চলেছে।

নানা সম্মান অধ্যাপক ঘোষাল পেয়েছিলেন। ২০০১ সালে তাঁর বিখ্যাততম গবেষণাটির পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে তাঁর পুরানো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্কটিশ চার্চ কলেজ তাঁকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করে। ভারতের নিউক্লিয় বিজ্ঞানের সব থেকে বড় সম্মেলন প্রতিবছর পরমাণু শক্তি বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত হয়। ২০০১ সালে কলকাতায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে তাঁকে সম্বর্ধিত করা হয় ও তাঁর গবেষণা বিষয়ে আলোচনার জন্য একটি বিশেষ সেশনের ব্যবস্থা করা হয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সাম্মানিক ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত করেছিল। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯৮ সালে তাঁকে বিশিষ্ট শিক্ষক সম্মানে ভূষিত করেছিল। তাঁর জন্মের শতবর্ষে তাঁকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি।

(এই নিবন্ধের নানা তথ্যের জন্য আমি অধ্যাপক ঘোষালের পুত্র শ্বেতকেতু ঘোষাল, পৌত্রী সুদক্ষিণা ঘোষালের কাছে ঋণী। অধ্যাপক ঘোষালের ছবিটিও তাঁদের সৌজন্যে প্রাপ্ত। অধ্যাপক ঘোষালের মৃত্যুর পরে 'ফিজিক্স টিচার’ পত্রিকায় প্রকাশিত সাহা ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন অধ্যাপক হরষিত মজুমদারের লেখা শোকবার্তা এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট ও সিন্ডিকেট রেকর্ড থেকেও কিছু তথ্য পেয়েছি।

 

জ্ঞান ও বিজ্ঞান পত্রিকার ২০২৩ অক্টোবর নভেম্বর (শারদীয়) সংখ্যাতে প্রকাশিত। 

No comments:

Post a Comment